দিল্লির বায়ু মানের সূচক এখন আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত কয়েক দিনে তা ৪৫০-এরও বেশি গিয়েছে এবং মঙ্গলবার তা পৌঁছেছে ৪৯৪-তে, যা এই মরসুমের সর্বোচ্চ। এই ভয়াবহ দূষণ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে দিল্লি সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, দূষণ কমানোর জন্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর হচ্ছে।
গোপাল রাই আরও জানান, বুধবার দুপুরে শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে, যেখানে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, মন্ত্রী নিজেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর আবেদন জানিয়েছেন। এর আগে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে, দূষণ পরিস্থিতি মাথায় রেখে দিল্লির সমস্ত স্কুলে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলিতেও ক্লাস অনলাইনে চলছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বিমান ও ট্রেন পরিষেবায়ও বিঘ্ন ঘটেছে। অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, এবং বিমান চলাচল আংশিকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

বুধবার কিছুটা কমেছে বায়ুর গুণমান সূচক, যা ৪২২-এ নেমেছে। তবে সমস্যা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। রাজধানী এবং এর আশপাশের এলাকা ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে রয়েছে, যা দৃশ্যমানতা কমিয়ে দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, প্রশাসন গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (জিআরএপি-৪) চালু করেছে। এর আওতায়, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক ছাড়া অন্য কোনও ট্রাক দিল্লি এবং তার আশেপাশে প্রবেশ করতে পারবে না। কিছু বিশেষ যান যেমন বৈদ্যুতিন গাড়ি, ডিজেল চালিত বিএস ৬, সিএনজি ও এলএনজি গাড়ির জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। নির্মাণকাজও বন্ধ রাখা হয়েছে দিল্লিতে। সুপ্রিম কোর্ট এই বিধি শিথিল না করার নির্দেশ দিয়েছে।