মহেশতলার ইডেনসিটি চতুর্থীর দিন মেতে উঠেছিল প্রীতম মুখার্জির নির্দেশনায় নাটক ‘দেবী’-র পরিবেশনায়। তিলোত্তমার আকাশে বিষাদের সুরে, উঠে আসে প্রতিবাদের কন্ঠ। নারীর প্রতি সমাজের নৃশংসতা এবং অবমাননা দেখে দেবী দুর্গার মর্তে আগমনে অনীহা, এবং তাঁকে রাজি করানোর জন্য মহাদেবের অঙ্গীকার নিয়ে সাজানো এই নাটক।

এই নাটকের মূল বিষয় ছিল নারী সুরক্ষা এবং সমাজে এটির গুরুত্ব। দেবারতি ভৌমিকের লেখনীতে ফুটে উঠেছে একটি বাস্তবিক বার্তা—নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের কর্তব্য। নাটকটি যে শুধুমাত্র এক সামাজিক প্রতিবাদ নয়, বরং নারী অধিকার নিয়ে একটি নিবেদন, তা দর্শকের মনে গভীর ছাপ ফেলে।


নাটকে অভিনয় করেছেন প্রীতম, দেবপ্রিয়া, দেবজিৎ, অনুসূয়া, সুমনা, অমিতাভ, নীলাদ্রি, সমরেশ, বিপাশা, ডোডো, লাইলি, দেবস্মিতা সহ শিশু শিল্পীরা। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হলেন কিয়াশ (গণেশ), রিয়াংশী (লক্ষ্মী), ইউমনা জেসিম (সরস্বতী) এবং আরিয়ান (কার্তিক)। নাটকের শুরুর দৃশ্যে ছোট্ট অভিনেত্রী কিয়ানা ও শানায়া তাদের অভিনয়ের মাধ্যমে ধর্ষকের লালসার মুখোমুখি হওয়ার প্রতীক তুলে ধরেন, যা কেবল আলো আর শব্দের মিশ্রণে ফুটে ওঠে।


দুর্গার নৃত্য এই নাটকের অন্যতম আকর্ষণ ছিল, যা সমগ্র মঞ্চকে এক নতুন রূপ দেয়। প্রতিটি সংলাপে, প্রতিটি চরিত্রে উঠে আসে নবজাগরণের সুর। পরিচালক প্রীতম মুখার্জির সাহসী ভাবনাচিন্তা এবং সমাজ সচেতনতার দৃষ্টিভঙ্গি দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই নাটক শুধু বিনোদন নয়, বরং প্রতিটি দর্শকের মনের গভীরে একটি নতুন বার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রচিত।


‘দেবী’-র এই উপস্থাপনায় সমাজের সকলেরই বুঝতে হবে যে, নারীর সুরক্ষা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব।