২৬ অক্টোবর ২০২৪: ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র তীব্রতা রাজ্যে বিশেষ প্রভাব ফেলেনি, তবে জনমনে ছিল কিছুটা আতঙ্ক। তাই অনেকেই আজ ঘর থেকে বাইরে বেরোননি, ফলে বিভিন্ন রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক কম ছিল। পূর্ব ঘোষণার ভিত্তিতে, সকাল ১০টা থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় পুনরায় ট্রেন পরিষেবা চালু হয়। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শাখাটিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।
শিয়ালদহ ও বারাসত থেকে হাসনাবাদ শাখায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় ট্রেন পরিষেবা। তবে, হাওড়া ও শিয়ালদহ মূল শাখায় মোটের উপরে ট্রেনগুলি সময়মতো চলাচল করেছে। সকাল থেকেই দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় দুই শাখাতেই যাত্রীদের সংখ্যা কিছুটা কম। এছাড়া হাওড়া বাসস্ট্যান্ডেও সকালের দিকে কম বাস চললেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।
বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র কারণে কলকাতা বিমানবন্দর বুধবারই জানিয়ে দেয় যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকবে। একই পদক্ষেপ নেওয়া হয় ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্ষেত্রেও, সেখানে ১৬ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় বিমান পরিষেবা। শুক্রবার সকাল ৯টায় উভয় বিমানবন্দরে ফের বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রতিদিন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৪০০ এবং ভুবনেশ্বর থেকে ১০০টি বিমান ওঠানামা করে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিপুল সংখ্যক বিমান বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তবে, শুক্রবার সকালে পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ায় বিমানবন্দরে যাত্রীদের জমায়েত চোখে পড়ে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে মোট ৫৫২টিরও বেশি এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেল বাতিল করে ১৫০টি ট্রেন, ইস্টকোস্ট রেল বাতিল করেছে ১৯৮টি, পূর্ব রেল ২০০টিরও বেশি এবং দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেল বাতিল করেছে ১৪টি ট্রেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনেক যাত্রী হাওড়া স্টেশনে এসে ট্রেন বাতিলের খবর পান এবং স্টেশন চত্বরে অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। তবে শুক্রবার সকালে ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার যাত্রীরা টিকিট কাউন্টারের সামনে জড়ো হয়ে টিকিট কেটে যাত্রা করেন।