১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ঃ শুটিং অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ডাবিংয়ের কাজও সম্পন্ন। শুধু বাকি সামান্য ‘প্যাচওয়ার্ক’ আর আবহসঙ্গীতের কাজ। এই বছরও প্রায় শেষের দিকে। এমন সময় সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘ফেলুদা’ সিরিজ়ের মুক্তির দিন নিয়ে আলোচনায় সরগরম টলিপাড়া। কবে আসছে ‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’? বেশ কিছুদিন ধরেই এই প্রশ্ন ঘুরছে সবার মুখে। শোনা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই সুরকার জয় সরকার শেষ করবেন আবহসঙ্গীতের কাজ। তবে কি এই পুজোতে বড় পর্দায় নয়, হইচই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে এসভিএফ-এর এই প্রযোজনা?
এই গুঞ্জন কতটা সত্যি, তা জানার জন্য সিরিজ়ের ফেলুদা টোটা রায়চৌধুরীর কাছে প্রশ্ন করা হলে টোটা বললেন, “দিনক্ষণ ঠিক জানি না, তবে শুনেছি আগামী তিন মাসের মধ্যে ফেলুদাকে দেখা যাবে।” তাঁর মতে, বড়দিনে ফেলুদা দেখা মানেই বিশেষ আনন্দ। টোটা আরও বলেন, সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টির জাদুতে ফেলুদা আর উৎসব তাঁর কাছে একাকার। তাই দুর্গাপুজোতেই সিরিজ় মুক্তি পেলেও তিনি খুশি।
এই প্রসঙ্গে টোটা শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন। তাঁর স্মৃতিতে তখন কলকাতার ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রা নয়, বরং বরফে মোড়া কাশ্মীর। তিনি বলেন, “আমরা তখন কলকাতায় ঘেমে-নেয়ে ভূস্বর্গের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। শ্রীনগরে পৌঁছানোর পরপরই ঠান্ডা পরিবেশের পূর্বাভাস ছিল, তাই গরম পোশাকগুলো হাতে ছিল। কিন্তু কাশ্মীরে পৌঁছানোর পর দেখি তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে!”
শুটিং করতে গিয়ে প্রত্যেককে প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হয়েছে। টোটা জানান, “শুটিং স্পটে পৌঁছে দেখি, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে, সবাই শীতে কাঁপছে। তার আগের দিন ধসের কারণে রাস্তা বন্ধ ছিল, আমরা প্রায় ভাবছিলাম ফিরে যেতে হবে। কিন্তু সৃজিতের সৌভাগ্য, পরদিন সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার আর শুটিং-এর পরিবেশ চমৎকার।” কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই তাঁরা শুটিং করেছিলেন।
তবে কাশ্মীরের মানুষদের মনোভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, “ওঁদের মনে এখনও দ্বন্দ্ব রয়েছে। ভারতের অন্যান্য অংশের মানুষদের নিয়ে কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা আছে। কিন্তু ওঁরা অত্যন্ত সরল। একবার বুঝে গেলে যে আমরা ক্ষতিকারক নই, তখনই তারা মন খুলে আড্ডা দিয়েছে।” টোটা উদাহরণ দিয়ে বলেন, “আমাদের গাড়ির চালক প্রথম দিকে খুব গুটিয়ে ছিলেন, এমনকি আমাদের সঙ্গে চা পর্যন্ত পান করতে চাইছিলেন না। কিন্তু যখন বুঝলেন আমরা ওঁদের নিয়ে কোনও রকম বৈরিতা পোষণ করি না, তখনই উনি এগিয়ে এসে সাহায্য করেছেন, এমনকি বাড়িতে দাওয়াতও দিয়েছেন।”
এখানেই টোটা বলেন, “কাশ্মীরের মানুষজন এতটাই সরল যে ওঁদের ভুল বোঝানো যায়, আর সেই কারণেই কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প এতটা ক্ষতিগ্রস্ত।”