দক্ষিণ হাবড়ার ‘সাঁজবাতি’ নামক মহিলা নেশামুক্তি কেন্দ্রে একাধিক মহিলার শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত হিসেবে কেন্দ্রীয় মালিক পিনাকী করের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত কেন্দ্রটি পরিচালনা করেন মালা বসুকর, যিনি পিনাকী করের স্ত্রী।


এই নেশামুক্তি কেন্দ্রের একজন মহিলা রোগী অভিযোগ করেছেন যে সেখানে রোগীদের উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয়। জলের পাইপ দিয়ে মারধর করা হয় এবং তাদেরকে পোষ্যের পটি খেতে বাধ্য করা হয়। অভিযোগকারী জানান, ভর্তি হওয়ার দিন থেকেই বিনা কারণে তার উপর নির্যাতন শুরু হয়। তিনি ওই কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে অন্যান্য রোগীদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং জানতে পারেন, তাদের সাথেও একই ধরনের আচরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি হাবড়ার এসপি অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন, যা থেকে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রটির কার্যকলাপ তদন্ত করছে।


অভিযোগকারী আরও জানান, সাঁজবাতি নেশামুক্তি কেন্দ্রটির সঠিক কোন সরকারি অনুমোদন বা বৈধ নথিপত্র নেই। কেন্দ্রের মালিক এবং মালকিন জাল কাগজপত্র ব্যবহার করছেন, যা টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। পিনাকী কর নিজেকে শাসক দল তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে রোগীর পরিবারকে ভয় দেখানোর অভিযোগও উঠেছে।


এ বিষয়ে কেন্দ্রের মালকিন মালা বসুকর জানান, তাদের বিরুদ্ধে করা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। তিনি কখনোই নিজেকে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচয় দেননি, তবে তৃণমূল কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তার স্বামীর বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির অভিযোগও মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন, কারণ তার স্বামী ওই কেন্দ্রে আসেন না। এটি একটি মহিলা নেশামুক্তি কেন্দ্র হওয়ায় পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আরও বলেন, যিনি এই অভিযোগ করেছেন, তিনি আসলে একটি সেক্স র্যাকেটের সাথে জড়িত ছিলেন এবং সেই কারণে তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছিল, যা থেকে এই মিথ্যা অভিযোগ উঠে এসেছে।