১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪: এক চিকিৎসক ছাত্রী যিনি ফুসফুস রোগের বিশেষজ্ঞ হতে চেয়েছিলেন, অগস্টের সেই ভয়ঙ্কর রাতে নির্যাতিত ও খুন হয়েছেন। এখন, সাধারণ মানুষ বিচার চেয়ে পথে নেমেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেই নির্যাতিতার জন্য। প্রতিবাদ চলছে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে শুরু করে দেশের অন্যান্য স্থান ও বিদেশেও। প্রতিবাদীদের মুখে, ওই চিকিৎসক ছাত্রীকে এখন নানা নামে ডাকা হচ্ছে। সম্প্রতি, তাঁর বাড়ির নিকটবর্তী এক পরিচিত মোড়ের নামও হয়ে গেছে ‘তিলোত্তমা মোড়’।
কলকাতার দিক থেকে বিটি রোড ধরে যে মোড়ে পৌঁছানো যায় এবং সেখান থেকে ডান দিকে কিছুটা এগোলেই নির্যাতিতার বাড়ি, সেই মোড়টি বর্তমানে ‘তিলোত্তমা মোড়’ নামে পরিচিত। কে বা কারা ওই মোড়ের মাথায় ‘তিলোত্তমা মোড়’ লেখা একটি ব্যানার ঝুলিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে গুগ্ল ম্যাপেও এই নামেই স্থানটি চিহ্নিত হচ্ছে।
গুগ্ল ম্যাপে ‘তিলোত্তমা মোড়’ লিখলেই দেখা যাচ্ছে বিটি রোডের উপর সেই পরিচিত মোড়, যেখানে থেকে অদূরেই নির্যাতিতার বাড়ি অবস্থিত। আবার, গুগ্লে ‘নির্যাতিতার বাড়ি’ লিখে সার্চ করলেও সেখানে ওই মোড়ের ছবি এবং তার পাশে ‘ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক’ লেখা রয়েছে।
গুগ্ল ম্যাপে যেকোনও স্থানের নাম পরিবর্তন করা যায়, তবে সেটি সবসময় স্থায়ী হয় না। স্থায়ী করতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের গুগ্ল লোকাল গাইড শৌনক দাস জানিয়েছেন, “এটি যে কেউ করতে পারেন। ‘অ্যাড নিউ প্লেস’ অপশনে গিয়ে পছন্দের নাম দেওয়া যায়। তবে একটি দোকানের নাম পরিবর্তন করা যতটা সহজ, ততটা এলাকা বা মোড়ের ক্ষেত্রে নয়।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ নাম পরিবর্তন করে, গুগ্ল তা যাচাই করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে দু’-তিনবার যাচাই করার পর ম্যাপে পরিবর্তন আসে।” গুগ্ল সাধারণত পুরসভার ম্যাপ অনুযায়ী স্থানগুলোর নাম প্রদর্শন করে। পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এআইয়ের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
শৌনক জানান, “লোকাল গাইডদের মতামত এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে যেই নামে মানুষ বেশি পরিচিত, সেটাই রাখা উচিত।”
এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেছেন যে, বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক রাস্তার নাম পরিবর্তন হচ্ছে এবং সেখানে অনেক মানুষের ভোটের মাধ্যমে গুগ্ল এটি করছে। তিনি বলেছেন, “যদি এখানে তা ঘটে, তবে আমাকেও অনুমোদন করতে হবে।”