চুল বাঁধার নানা ধরনের শৈলী রয়েছে। উৎসবের সময়ে সাধারণভাবে না হয়ে, বরং ট্রেন্ড এবং ফ্যাশনের দিকে গুরুত্ব দিতে হয়। হেয়ারস্টাইলিংয়ে আন্তর্জাতিক ট্রেন্ডের পাশাপাশি দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিও রয়েছে। মাঝে মাঝে এই দুটিকে একত্রিত করেও নতুন কিছু করে ফেলা যায়। তবে যে স্টাইলেই চুল বাঁধা হোক, তা যেন আরামদায়ক হয়। সাধারণ দিন হোক বা পূজা, টলিউডের তারকাদের অনুসরণ করে নিজেকে স্টাইলিশ করে তুলতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মানানসই এমন কিছু হেয়ারস্টাইল নিয়ে আজকের আলোচনা।

লম্বা চুলের স্টাইল নিয়ে ভুল ধারণা। চাইলে অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের মতো বেণি করতে পারেন ফিতা দিয়ে। শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফিতা ব্যবহার করলেও দারুণ দেখাবে।

মধুমিতার এই লুকে ডাবল হাফ বান হেয়ারস্টাইল। মিনি ড্রেস ছাড়া অন্যান্য ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গেও এটি মানিয়ে যাবে। এর জন্য মাঝ সিঁথি করে সামনের অংশের কিছু চুল ভাগ করে নিয়ে খোঁপা বা বান করতে হবে। তারপর বাকি চুল ছেড়ে দিলেই হয়ে যাবে স্টাইলিশ হেয়ারস্টাইল।
অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় বরাবরই তাঁর হেয়ারস্টাইলের প্রতি সচেতন। সাদা শাড়ির এই ক্ল্যাসিক লুকে তিনি খোঁপা বেছে নিয়েছেন এবং খোঁপায় গুঁজে দিয়েছেন দুটি লাল গোলাপ। যেকোনো পার্টির জন্য এই লুক মানানসই।

অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রের হেয়ারস্টাইল বাঙালির চিরচেনা। উৎসবে এই হেয়ারস্টাইল সব সময়ই ট্রেন্ডি। খোঁপা করে বা স্লিক বানে বাঁধলে সৌন্দর্য আরও বাড়বে।

ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে রুক্মিণী স্লিক বান করেছেন।

সুতি শাড়ির সঙ্গে অভিনেত্রী মনামী ঘোষ ফিসটেল হেয়ারস্টাইল করেছেন।

লাল ফিতার কলা বিনুনি হেয়ারস্টাইলটি যদিও পুরনো, তা আবার ট্রেন্ডে ফিরেছে। গাউনের সঙ্গেও এই স্টাইল করা যায়, যেমনটি করেছেন অভিনেত্রী মনামী।

মেসি হেয়ারস্টাইল নানা ভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। মিমি চক্রবর্তী তাঁর স্ট্র্যাপলেস গাউনের সঙ্গে ফিউশন স্টাইলে চুল বাঁধেছেন। মাঝ সিঁথি করে সামনের কিছু চুল পেছনে নিয়ে ফ্রেঞ্চ বেণি করেছেন। সবশেষে সব চুল একসঙ্গে নিয়ে ঢিলে খোঁপা তৈরি করেছেন।

পার্ণো মিত্রও এই লুকে স্লিভলেস লেহেঙ্গা পরেছেন এবং সামনের অংশের চুলে ফ্রেঞ্চ বেণি করে সব চুলগুলো নিয়ে ঢেউখেলানো পনিটেল করেছেন।
