৮ই সেপ্টেম্বর, রবিবারঃ আজ অর্থাৎ রবিবার কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার এক মাস পূর্ণ হচ্ছে। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন অংশে দিনভর প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কেউ ছবি আঁকবেন, কেউ মিছিলে হাঁটবেন, আবার কেউ নীরবতাকে প্রতিবাদের হাতিয়ার করবেন।
১৪ আগস্টের ঘটনার মতোই, রোববারও ‘রাত দখল’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে এ বার শুধু কলকাতাই নয়, রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও এই কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবারের কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে “শাসকের ঘুম ভাঙাতে নতুন গানের ভোর”। রোববার বিকেল ৫টায় টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করেছেন টলিউডের শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
যাদবপুর আর্টিস্ট ফোরাম রাস্তাকেই ক্যানভাস হিসাবে ব্যবহার করে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ছবি আঁকার উদ্যোগ নিয়েছে। গড়িয়া মোড়, গাঙ্গুলিবাগান মোড়, বাঘাযতীন মোড়, সুকান্ত সেতু এবং বাইপাস কানেক্টরের মতো স্থানে শিল্পীরা রাত ৯টা থেকে ছবি এঁকে ও লিখে প্রতিবাদ জানাবেন। এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষকেও অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। কর্মসূচিটির শিরোনাম হিসেবে নেওয়া হয়েছে, “মুছবি যত, আঁকব তত”। প্রসঙ্গত, মাথাভাঙায় ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদ হিসেবে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে শিল্পীদের আঁকা ছবি মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল।
রোববার রাতের প্রতিবাদের পাশাপাশি, সোমবার ভোরেও ‘ফোর দখল’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৬টায় অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে ‘ক্যান্টিন আর্ট কালেক্টিভ’-এর মেয়েরা নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাবেন। ‘মেয়েদের থিয়েটার’ নামে এই উদ্যোগ রোববার রাত থেকেই শুরু হবে। আরজি কর-কাণ্ডের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শ্যামবাজার, ঢাকুরিয়া এবং যাদবপুরের বিভিন্ন স্থানে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে। অবস্থানকারীরা ৯ মিনিট নীরবতা পালন করবেন।
অন্যদিকে, রিকশা শ্রমিকরাও তাদের প্রতিবাদ জানাতে পথে নামবেন। বিকেল ৪টায় হেদুয়া থেকে শুরু হয়ে এই মিছিল কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত যাবে। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে “তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রিকশা শ্রমিকদের মিছিল”।
প্রতিবাদ কর্মসূচি কেবল কলকাতাতেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন শহরেও অনুষ্ঠিত হবে। আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দেশে স্থানীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৫টায় এই কর্মসূচি শুরু হবে। কিছু জায়গায় মানববন্ধনের আয়োজনও করা হয়েছে।