১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে ‘উন্মুক্ত আলোচনায়’ আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে তাঁরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত, কিন্তু সেই আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন ‘অভিভাবক’ হিসাবে উপস্থিত থাকেন। তাঁদের মতে, আলোচনা কোথাও হোক না কেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি পরিস্থিতি নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তাররা প্রস্তাব করেন, ‘আমরা সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৩০ জনের একটি দল গঠন করতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে, স্বাস্থ্য ভবন বা নবান্নে, যে কোনও জায়গায় আলোচনায় যেতে রাজি। পুরো বৈঠক গণমাধ্যমের সামনেই হওয়া উচিত।’
এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বৈঠকে ডাকলেও, ডাক্তাররা সেই বৈঠকে অংশ নেননি। তাঁদের তরফে কয়েকটি শর্ত প্রদান করা হয়েছিল বৈঠকের জন্য। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, ‘শর্ত দিয়ে আলোচনায় যাওয়া যায় না। আমরা চাই, তাঁদের সকল উদ্বেগ শুনতে এবং খোলা মনে আলোচনা করতে।’ ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘আমরা ইতিমধ্যে একটি ই-মেল পাঠিয়েছি এবং তার জবাবের অপেক্ষায় আছি। আমরা চাই খোলামেলা আলোচনা হোক। মুখ্যমন্ত্রী যেন অভিভাবক হিসাবে উপস্থিত থাকেন, কারণ এটি আমাদের অধিকার।’
ডাক্তারদের ভোর চারটায় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ই-মেল পাঠানো নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে, ডাক্তাররা জানান, ‘ভোর বেলায় ই-মেল পাঠানোর পেছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। আমরা যেমন ভোর বেলায় রোগীদের সেবা করতে ছুটে যাই, ঠিক তেমনই ই-মেল পাঠানো হয়েছে। যারা রাজনীতির অভিযোগ তুলছেন, তারাই আসলে রাজনীতি করছেন।’
জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্যের হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলোতে সুরক্ষিত পরিবেশের দাবি তুলেছেন। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার আশ্বাস দিয়েছেন, ‘আপনাদের কাজের স্থান সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। খুব শীঘ্রই পরিবর্তন দেখতে পাবেন। যখন আপনারা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি চাইছেন, তখন আলোচনায় আসুন খোলা মন নিয়ে। ভুল পথে পা দেবেন না।’