🌿 টঙ্কা তোরানি কী?
ওড়িশার পুরীতে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ হিসেবে খাওয়ার পরে ‘টঙ্কা তোরানি’ পান করা হয়। এটি মূলত ভাতের জল (পাখাল ভাতের জল) দিয়ে তৈরি এক ধরনের জলযোগ, যাতে মেশানো হয় বিভিন্ন মশলা, কাঁচা আম, ধনেপাতা এবং ভাজা জিরা। প্রাচীনকাল থেকেই এটি গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও হজমে সাহায্য করার জন্য জনপ্রিয়।
🥤 টঙ্কা তোরানির উপকরণ:
- পাখাল ভাতের জল – ২ কাপ
- টক দই – ২ টেবিল চামচ
- ধনে পাতা কুচি – ২ টেবিল চামচ
- কাঁচা লঙ্কা কুচি – ১টা
- আদা বাটা – ১ চা চামচ
- ভাজা জিরে গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- কালো নুন – স্বাদমতো
- নরম চালের ভাত – ২ টেবিল চামচ
- বরফ – ইচ্ছামতো
👩🍳 প্রণালী:
১. একটি বড় পাত্রে পাখাল ভাতের জল এবং ভাত মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন।
২. এবার তাতে টক দই মেশান।
৩. এরপর একে একে ধনে পাতা, কাঁচা লঙ্কা, আদা বাটা, জিরে গুঁড়ো, কালো নুন মিশিয়ে দিন।
৪. সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।
৫. পরিবেশনের আগে বরফ যোগ করে ঠান্ডা ঠান্ডা পান করুন।
💡 কেন খাবেন টঙ্কা তোরানি?
- গরমে ঘামিয়ে জলশূন্যতা ঠেকায়
- পেট ঠান্ডা রাখে
- হজমে সাহায্য করে
- শরীরের টক্সিন পরিষ্কার করে
- ঘাম, রোদের ক্লান্তি দূর করে
এই গরমে বাইরে থেকে শরীর ঠান্ডা রাখার চাইতে ভেতরটা ঠান্ডা রাখা আরও জরুরি। আর সেই কাজটাই সহজে করে টঙ্কা তোরানি। জগন্নাথের মন্দির থেকে শুরু করে এখন ওড়িশার ঘরে ঘরে এই পানীয় এক ঐতিহ্যবাহী রূপ নিয়েছে। আপনি চাইলে আজই বানিয়ে ফেলুন এই ঘরোয়া ওষুধতুল্য শরবত।
🔶 এক নজরে হাইলাইটসঃ
- ওড়িশার পবিত্র শহর পুরীতে জনপ্রিয় এই পানীয়
- জগন্নাথ দেবের মন্দিরে ‘মহাপ্রসাদ’ খাওয়ার পরে পান করা হয়
- শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখে, হজমে সাহায্য করে
- সহজ উপকরণে ঘরেই বানিয়ে ফেলুন এই ঐতিহ্যবাহী শরবত