পথ আটকান দেবী লক্ষ্মী! উলটো রথের পর তিনদিন কেন মন্দিরের বাইরে থাকেন জগন্নাথদেব? জানুন কারণ ও উৎসবের কাহিনি

উলটো রথের পর পুরীর রথযাত্রার সবচেয়ে রহস্যময় অধ্যায় শুরু হয়। মন্দিরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা—কিন্তু কেন প্রবেশ করতে পারেন না তাঁরা? কেন তিনদিন রথেই কাটে তাঁদের দিন? জানুন দেবী লক্ষ্মীর অভিমান ও সেই তিনদিনে পালিত উৎসবগুলির কাহিনি।
🪔 অক্ষয় তৃতীয়া ২০২৫: তারিখ, সময়, পূজার নিয়ম ও শুভ মুহূর্ত জেনে নিন

২০২৫ সালে অক্ষয় তৃতীয়া কবে পড়ছে, কখন শুরু ও শেষ হচ্ছে শুভ মুহূর্ত? কীভাবে করবেন পূজা, দান এবং উপবাস? জানুন অক্ষয় তৃতীয়ার বিস্তারিত গুরুত্ব ও পবিত্র কাহিনী।
অক্ষয় তৃতীয়া: চিরস্থায়ী সম্পদ ও সমৃদ্ধির দ্বার উন্মোচন করুন

অক্ষয় তৃতীয়া ২০২৫: ৩০শে এপ্রিল পালিত হবে এই শুভ দিনটি। সোনা কেনা ও নতুন কিছু শুরু করার জন্য অক্ষয় তৃতীয়া হিন্দু সংস্কৃতিতে চিরস্থায়ী সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক।
আজ মোক্ষদা একাদশী: মুক্তির দিন

মোক্ষদা একাদশীর অর্থ
‘মোক্ষদা’ শব্দটি মানে প্রলোভন ধ্বংস করা। এই একাদশীকে তাই মোক্ষদা একাদশী বলা হয়। দ্বাপর যুগে এই দিনেই শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রে অর্জুনকে গীতার জ্ঞান প্রদান করেছিলেন। তাই এই দিনটি গীতা জয়ন্তী নামেও পালিত হয়, যা মানবতাকে ধর্মের পথে পরিচালিত করার শিক্ষা দেয়।
মোক্ষদা একাদশী ব্রত পূজা বিধি
এই একাদশীতে শ্রীকৃষ্ণ, মহর্ষি বেদব্যাস এবং শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার পূজা করা হয়। পূজা বিধি নিম্নরূপঃ
একাদশীর আগের দিন দশমীতে শুধুমাত্র একবার আহার গ্রহণ করুন এবং রাতে খাবার গ্রহণ করবেন না।
একাদশীর সকালে স্নান সেরে ব্রত পালনের সংকল্প গ্রহণ করুন।
শ্রীকৃষ্ণের পূজা করুন ধূপ, প্রদীপ, নৈবেদ্য (প্রসাদ) দিয়ে। রাতে জাগরণ করুন এবং ভক্তিমূলক গান পরিবেশন
আজকের উৎসবঃ মাসিক শিবরাত্রি, মহাদেবের আরাধনার এক পবিত্র রাত

মাসিক শিবরাত্রি: মানে ও মাহাত্ম্য
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মাসিক শিবরাত্রি। ‘মাসিক’ মানে মাসিক এবং ‘শিবরাত্রি’ মানে শিবের রাত। প্রতি মাসে পালিত হলেও, মহাশিবরাত্রি বছরে একবার হয়। মনে করা হয় যে, মাসিক শিবরাত্রি ব্রত পালন করলে অবিবাহিত নারীরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী লাভ করেন। এই ব্রত রাগ, হিংসা, অহংকার এবং লোভের মতো অশুভ প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
মাসিক শিবরাত্রির গুরুত্ব
মাসিক শিবরাত্রি শিব ঠাকুরের প্রতি নিবেদিত এক শক্তিশালী এবং শুভ ব্রত। এটি জীবনের উন্নতি এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল কামনায় পালন করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, যদি সারাদিন ও সারারাত “ওম নমঃ শিবায়” মন্ত্র জপ করা যায়
আজ ‘সংকষ্টী চতুর্থী’: জীবনের বাধা কাটিয়ে সাফল্যের পথে

চতুর্থীর পরিচিতি
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, পূর্ণিমার চারদিন পর ও অমাবস্যার চারদিন পর চতুর্থী পালিত হয়। এই দুটি চতুর্থীর মধ্যে একটি হল বিনায়ক চতুর্থী এবং অপরটি সংকষ্টী চতুর্থী। যদি এই চতুর্থী মঙ্গলবারে পড়ে, তবে সেটি অঙ্গারকী চতুর্থী নামে পরিচিত। ভারতজুড়ে এই উৎসব জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়। তামিলনাড়ুতে এই দিনটি সংকটহর চতুর্থী নামে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
বিনায়ক চতুর্থী বা গণেশ চতুর্থী ভাদ্র মাসের চতুর্থ দিনে শুরু হয়। এই উৎসবে গণেশের মাটির মূর্তি ঘর ও অফিসে স্থাপন করে পূজা করা হয়। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, প্রসাদ নিবেদন, প্রার্থনা এবং উপবাসের মাধ্যমে দশদিন ধরে এই উৎসব পালিত হয়।
সংকষ্টী চতুর্থীর মাহাত্ম্য
জীবনের সমস্ত বাধা দূর করে জ্ঞান, সাফল্য
দেবুত্থান একাদশী ব্রত: বৈকুণ্ঠ দ্বার খোলার শুভ লগ্ন ও পূজা পদ্ধতি

দেবুত্থান একাদশী পরনা সময়: ১৩ নভেম্বর, সকাল ৬:৪২:৩৫ থেকে ৮:৫১:৪২ পর্যন্ত
স্থিতিকাল: ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে দেবুত্থান একাদশী বা প্রাবোধিনী একাদশী পালিত হয়, যা দিওয়ালির পরপরেই আসে। আষাঢ় মাসের একাদশীতে ভগবান বিষ্ণু যোগনিদ্রায় যান এবং কার্তিকের একাদশীতে আবার জেগে ওঠেন। এই একাদশীকে দেবতাদের জাগরণের দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, চার মাস ধরে ক্ষীর সাগরে ঘুমন্ত থাকা পর, শ্রী বিষ্ণু এই দিনে পুনর্জীবন লাভ করেন। এই চার মাসকালীন সময়কে ‘চতুর্মাস’ বলা হয়, যেখানে কোনও শুভকাজ সম্পন্ন হয় না। দেবুত্থান একাদশী থেকে শুরু হয় সবধরনের ধর্মীয় ও শুভ কার্যকলাপ। এদিন
আজকের উৎসব ‘ছট পূজা’

শক্তি ও সূর্যের আরাধনায় ছট পূজার গুরুত্ব এবং ছটী মাইয়ার ভূমিকা
ছট পূজা হিন্দুধর্মে এক বিশেষ ধর্মীয় উৎসব, যা সূর্যদেব ও ছটী মাইয়ার প্রতি নিবেদিত। সূর্যকে একমাত্র দৃশ্যমান দেবতা হিসেবে পূজা করা হয় কারণ তিনি পৃথিবীর সকল প্রাণীর জীবনদাতা। ছট পূজায় সূর্যদেবের পাশাপাশি ছটী মাইয়ারও পূজা করা হয়। বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে ছটী মাইয়াকে সন্তানদের রক্ষা ও তাদের দীর্ঘায়ু প্রদানের দেবী হিসেবে মান্য করা হয়। বিহার ও ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় ভাষায় ‘ছটী মাইয়া’ হলেন দেবী ষষ্ঠী, যিনি সন্তানদের সুরক্ষাদাত্রী।
ছট পূজার উৎসব
ছট পূজা একটি চারদিনের লোক উৎসব যা কার্তিক শুক্ল চতুর্থী থেকে শুরু হয়ে কার্তিক শুক্ল সপ্তমীতে শেষ হয়।
নাহায়
আজকের উৎসব গোবর্ধন পূজা: প্রকৃতি ও মানবতার প্রতি শ্রদ্ধার উৎসব

গোবর্ধন পূজা হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। এই উৎসব প্রকৃতি এবং মানবজাতির সাথে সংযোগের প্রতীক। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম দিনে গোবর্ধন পূজা বা অন্নকূট উদযাপিত হয়। গোটা ভারতে এই উৎসব পালন করা হলেও উত্তর ভারতে, বিশেষ করে মথুরা, বৃন্দাবন, নন্দগাঁও, গোকুল এবং বরসানার মতো ভ্রজভূমি এলাকায় এর গুরুত্ব বিশেষভাবে অনুভূত হয়। এই অঞ্চলগুলোর সঙ্গে গোবর্ধন পূজার গভীর সংযোগ রয়েছে কারণ এই স্থানেই শ্রীকৃষ্ণ গোবর্ধন পূজার জন্য গোকুলবাসীদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং দেবরাজ ইন্দ্রের অহংকার দূর করেছিলেন।
গোবর্ধন পূজার তারিখ ও ধর্মগ্রন্থের উল্লেখ
গোবর্ধন পূজা কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম দিনে পালন করা হয় এবং এটি কিছু বিশেষ
আজকের উৎসব প্রদোষ ব্রত (কৃষ্ণপক্ষ): মুক্তি ও সাফল্য লাভের পথ

হিন্দু ধর্মীয় ক্যালেন্ডারের অন্যতম পবিত্র উপবাস হল প্রদোষ ব্রত, যা প্রতি মাসে দু’বার পালন করা হয়। প্রদোষ ব্রত বা প্রদোষম মূলত মহাদেবকে উৎসর্গ করে পালন করা হয় এবং এটি চন্দ্র পক্ষের ১৩তম দিনে পালিত হয়। এই দিনটি পুরোপুরি ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীকে নিবেদিত। প্রদোষ ব্রত হল সাহস, বিজয় ও ভয়মুক্তির প্রতীক।
প্রদোষ ব্রত: মুক্তি ও সাফল্য অর্জনের সাধন
বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে ভগবান শিব অত্যন্ত দয়াশীল হয়ে থাকেন এবং তাঁর ভক্তদের সুখ-সমৃদ্ধি ও আনন্দ প্রদান করেন। যদি কেউ নিবিড় ভক্তি ও আন্তরিকতার সাথে প্রদোষ ব্রত পালন করে, তবে ভগবান শিব তার সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন। তাই