দক্ষিণবঙ্গে ফের নিম্নচাপ: বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) আলিপুর শাখা জানিয়েছে, বুধবার মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে চলেছে, যা বর্তমানে কেন্দ্রীয় বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের ফলেই ঘটতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড় এবং নিম্নচাপের কারণে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। মঙ্গলবার, নাদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া এবং পূর্ব বর্ধমান বাদে প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, বুধবার এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যে পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়াও, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার
পুরীর মন্দিরের মূর্তি ও সাতমহলার অন্তঃপুরে জমজমাট গড়িয়াহাট

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, কলকাতা: অক্টোবরে আসন্ন পুরীর মন্দির দর্শন কলকাতার বুকে!
কলকাতায় পুজোর কেনাকাটায় উৎসবের আমেজ—আজ ও কাল ব্যাপক বিক্রির প্রত্যাশা

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজোর কেনাকাটার রেশ শুক্রবার আরও একধাপ এগিয়ে গেল। বড়বাজার থেকে হাতিবাগান কিংবা গড়িয়াহাট থেকে ধর্মতলা—দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে জমজমাট পুজো শপিং। ইতিমধ্যে অনেক মানুষ নিজেদের পুজো বোনাস নিয়ে বাজারে এসেছেন। তাই আজ শনিবার ‘হাফ ছুটি’ এবং আগামীকাল পুরো ছুটির দিনে কেনাকাটার জন্য বেরোতে চলেছেন বাঙালির এক বড় অংশ। বিক্রেতাদের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে।
বড়বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সঞ্জয় সাহার সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর থেকেই আমাদের দোকানে পুজোর পরিচিত ছবি ফুটে উঠতে শুরু করেছে। বহু মানুষ আসছেন, জিনিসপত্র দেখছেন এবং কিনছেন। ”তিনি জানান, দুপুরের দিকে ভিড় এতটাই বেড়ে যায়
পুজোর আগে ফ্যাশনে প্রতিবাদের ঢেউ: আরজি কর আন্দোলনের সমর্থনে টি-শার্টের জোয়ার!

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪: আরজি কর আন্দোলনের পটভূমিতে কলকাতায় টি-শার্ট ফ্যাশনে বিপ্লব ঘটেছে। ‘আর কবে?’ স্লোগান দিয়ে অরিজিৎ সিংহের গাওয়া গানটি যেমন আন্দোলনের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে, সেই গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তৈরি হয়েছে নানা ধরনের টি-শার্ট। মূলত ‘আরজি কর আন্দোলন’-এর সমর্থনে বাজারে এসেছে এসব টি-শার্ট। প্রতিটি টি-শার্টেই থাকছে প্রতিবাদী স্লোগান, যা আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ফ্যাশনে প্রতিবাদের ছোঁয়া
টি-শার্টের ওপর মুঠো করা হাতের ছবি ও সাদা হরফে লেখা ‘আর কবে?’ স্লোগান যেন নতুন প্রজন্মের প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে। শুধু এই একটি নয়, ‘আমার দুর্গা বিচার চায়’, ‘বিচার চাই’, ‘জাস্টিস ফর তিলোত্তমা’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া
কলকাতায় বিক্রান্ত মেসি: ভালবাসার শহরে একান্ত আলাপচারিতা

১০৩ ডিগ্রি জ্বর, সকাল থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। এসবকে উপেক্ষা করে বিক্রান্ত মেসি উপস্থিত হলেন কলকাতায়। তবে কোনও ছবির প্রচারে নয়, বরং কলকাতার প্রতি ভালোবাসার কারণেই তিনি এসেছিলেন ‘টক শো’-তে। ‘টুয়েলভ্থ ফেল’ ছবির খ্যাতি পাওয়া এই অভিনেতা সেখান থেকেই উচ্ছ্বাসের সাথে প্রশংসা করলেন কলকাতার। তিনি বললেন, “আমরা সবাই আমেরিকার প্রশংসা করি, কিন্তু ওখানে মাঝরাতে খাবার পাওয়া যায় না। আমাদের দেশ, বিশেষত কলকাতা ও মুম্বইতে, গভীর রাতে খিদে পেলেও খাবার পেতে সমস্যা নেই। কেউই ক্ষুধার্ত থাকে না।” এমন সময়, যখন শহর আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল, বিক্রান্তের এই বার্তা যেন শান্তির এক ঝলক এনে দিল।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অনুরোধ করা হয়েছিল, কোনও বিতর্কিত
বৃষ্টির মধ্যে প্রতিবাদ: আরজি কর-কাণ্ডের বিরুদ্ধে নার্স ও প্রাক্তন সেনাকর্মীদের মিছিল

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪: অবিরাম বৃষ্টির মধ্যেও প্রতিবাদের রেশ থেমে থাকেনি। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে অঝোর ধারায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত হলো প্রতিবাদ মিছিল। ছাতা মাথায় নিয়ে নার্স, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী এবং শহরের বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীরা এগিয়ে এলেন আরজি কর-কাণ্ডের বিরুদ্ধে। মিছিলের সামনের দিকে থাকা অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে চললেন। উদ্যোক্তাদের দাবি, দুর্যোগের আগেই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে তেমন সাড়া মিলবে না, এমন আশঙ্কা থাকলেও বাস্তবে দেখা যায়, বহু মানুষ ছাতা মাথায় নিয়ে মিছিলে শামিল হয়েছেন।
বিভিন্ন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকেরা, যাঁরা অবসরপ্রাপ্ত মেজর এবং ব্রিগেডিয়ার, তাঁরা আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার দাবি করে
ঝড়-বৃষ্টির দুর্যোগ এখনই শেষ নয়, ভোগান্তির মুখে কোন কোন জেলা

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে অতিক্রম করছে। কলকাতার নিকটবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে এই নিম্নচাপ, যা আজ রাতেই কলকাতা পেরিয়ে পশ্চিমের জেলাগুলির দিকে অগ্রসর হবে। নিম্নচাপটি পশ্চিমের ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঝাড়খণ্ড ও উত্তর ছত্রিশগড় এলাকায় গিয়ে এটি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
নিম্নচাপের কারণে উত্তাল থাকবে উত্তর বঙ্গোপসাগর। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। রবিবার সকাল পর্যন্ত আবহাওয়া দপ্তর সমুদ্রে মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাগুলিতে ৩০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে, হতাশ আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪: নবান্নের পর কালীঘাটে। দু’দিনের ব্যবধানে, পরপর দু’বার মুখ্যমন্ত্রী এবং আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বৈঠক করার উদ্যোগ বিফল হল। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর, কিছু আন্দোলনকারী চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের হতাশা স্পষ্ট ছিল। তাঁরা বলেন, “আমরা আলোচনার জন্য এসেছিলাম, কিন্তু খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে।” ৩৫তম দিনেও আন্দোলনের আবহ নাটকীয়তায় মোড়ানো। সকাল থেকেই সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে চিকিৎসকদের ধর্ণা চলছিল। সন্ধ্যাবেলা চিকিৎসকদের একটি দল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠকে যোগ দিতে গেলে বৈঠক সফল হয়নি। দিনের ঘটনার মূল সমস্যা ছিল বৈঠকের ভিডিওগ্রাফি নিয়ে।
নবান্নে আন্দোলনকারীরা বৈঠকটি লাইভ স্ট্রিমিং করার দাবিতে অনড় ছিলেন। তবে কালীঘাটে, তাঁরা সেই দাবি
নবান্নের দরজায় পৌঁছেও বৈঠক হলো না, চিকিৎসকদের স্পষ্ট বার্তা: প্রয়োজনে আরও ৩৩ দিন রাস্তায় থাকব

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪: স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ফের সাংবাদিক বৈঠক করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি আরও দৃঢ় করে জানান, প্রয়োজনে তাঁরা আরও ৩৩ দিন রাস্তায় পড়ে থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় আন্দোলনকারীদের সুর আরও কঠিন হয়েছে।
প্রতিবাদরত জুনিয়র চিকিৎসকরা সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমরা কী চেয়েছিলাম?
জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান: দাবি না মানা হলে চলবে আন্দোলন

বিকেল ৫টার পরও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেনি জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থিতি বজায় রেখেছে। দাবি পূরণ না হলে অবিরত এই অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য ভবনের সূত্র মারফত জানা গেছে, চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল ভিতরে আসার চেষ্টা করলে তাদের স্বাগতম জানানো হবে। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, তারা ডেপুটেশন দিতে আসেননি। তাঁদের দাবিগুলি স্পষ্ট;