প্রি-ড্র্যাপড শাড়ি: নতুন যুগের বাঙালির ছোঁয়ায় ঐতিহ্যের সহজ রূপান্তর

শাড়ি, বাঙালি সংস্কৃতির অমলিন প্রতীক, তার শাশ্বত রূপের মধ্যেও এক নতুন যুগের ছোঁয়া পেয়েছে। বাঙালির কাছে শাড়ি পরা মানে ছিল শিল্প। প্রতিটি ভাঁজে ছিল মমতা, আর পল্লুতে জড়ানো থাকত আত্মবিশ্বাস। কিন্তু সময় বদলেছে, আর সেই সঙ্গে বদলেছে শাড়ি পরার ধরণ।
আজকের যুগে, তরুণ প্রজন্মের ব্যস্ত জীবনে সময়ের অভাবের কারণে শাড়ি পরার জটিলতাগুলি অনেকের কাছে ঝঞ্ঝাট মনে হয়। আর সেই কারণেই, ফ্যাশনের দুনিয়ায় প্রবেশ করেছে প্রি-ড্র্যাপড শাড়ি। শাড়ির সমস্ত ভাঁজ এবং পল্লু আগে থেকেই সুন্দর করে সেলাই করা। শুধু স্কার্টের মতো পরে, পল্লু কাঁধে তুলে নিলেই তৈরি হওয়া যায় যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য।
সুহানা খান একটি পরীক্ষামূলক প্রি-স্টিচড শাড়িতে, যা
শতাব্দীপ্রাচীন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পূজা: ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন

সময়ের পরিবর্তন হলেও, আজও অটুট রয়েছে নদীয়া রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পূজা। রাজত্বের সেই জাঁকজমক হয়তো হারিয়ে গেছে, তবে আজও কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতে মহাসমারোহে পালন করা হয় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত এই পূজা, যা কৃষ্ণনগরের মানুষের আবেগ ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ঐতিহাসিক পটভূমি: নবাবের রোষ এবং স্বপ্নাদেশে পূজার সূচনা
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭৫৪ সালে নবাব আলিবর্দি খাঁ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে এক লক্ষ টাকা কর হিসেবে দিতে বলেন। সেই টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় নবাবের নির্দেশে রাজাকে বন্দি করা হয়। দশমীর দিন সেই অর্থ নবাবকে দিয়ে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান রাজা। মুক্তির পরে নৌকোতে ফিরতে ফিরতে কৃষ্ণচন্দ্র দেবীর স্বপ্নাদেশ লাভ করেন। দেবী
বিশ্বজুড়ে হ্যালোইন উদযাপন: ভৌতিক উৎসবের নানা রঙ

হ্যালোইন উৎসব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক ভিন্ন ভিন্ন রূপে উদযাপিত হয়, যা শুধু ভৌতিক নয়, বরং সংস্কৃতির অনন্য মেলবন্ধনের প্রতিফলন ঘটায়। ইউরোপ থেকে আমেরিকা, এশিয়া থেকে আফ্রিকা – প্রতিটি দেশের মানুষ একে নিজের আঙ্গিকে উপভোগ করেন। নিচে উল্লেখ করা হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হ্যালোইন উদযাপনের বৈচিত্র্য।
১. আমেরিকা
আমেরিকায় হ্যালোইন হলো এক বিশেষ উদযাপনের সময়। অক্টোবরের শেষের দিনটি শিশু থেকে বয়স্ক সবাই একসঙ্গে উদযাপন করেন। বাচ্চারা অদ্ভুত অদ্ভুত পোশাক পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে “ট্রিক অর ট্রিট” খেলে ক্যান্ডি সংগ্রহ করে। বড়দের জন্য আয়োজন করা হয় নানা ধরনের কস্টিউম পার্টি এবং আতঙ্কজনক ভৌতিক বাড়ি পরিদর্শন।
২.
দীপাবলিতে কুকুরের আরাধনা: ভিন্ন রীতিতে নেপালি সম্প্রদায়ের অভিনব উৎসব

বাঙালির কালীপুজোর পাশাপাশি নেপালি সম্প্রদায়ে পালিত হচ্ছে এক বিশেষ ঐতিহ্য—”কুকুর তেওহর,” যেখানে পরিবারের প্রিয় সারমেয়দের দেবত্বে অভিষিক্ত করে পুজো করা হয়। নেপাল এবং ভারতীয় নেপালি সম্প্রদায়ের এই বিশেষ উৎসবে সারমেয়দের গলায় মালা পরানো, তিলক দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
আলোর উৎসবের সঙ্গেই কুকুর পুজোর এক ঐতিহ্য
দীপাবলির আলোর রোশনাই যখন চারদিকে ছড়িয়েছে, তখন নেপালের মানুষ উদযাপন করছেন কুকুরের উৎসব, কুকুর তেওহর। এই দিনে নেপালিরা বিশ্বাস করেন যে, কুকুর ভগবান ভৈরবের বাহন এবং তাঁর অনুগত সঙ্গী। তাই দেবভক্তিতে অভিষিক্ত করতেই কুকুরদের স্নেহ, সম্মান আর পূজায় সজ্জিত করা হয়।
পুরোহিতের আর্শীবাদ ও কুকুরদের প্রিয় খাবার
দেবী দুর্গার আগমন এবং গমন কি নির্দেশ করে?

দেবীর আগমন এবং গমন নির্ভরশীল প্রকৃতির উপর বা অন্য ভাবে বলা যায় আগমন বা গমনের উপর প্রকৃতির পরিবর্তন নির্ভর করে।
সিংহ বাহিনী দেবী দুর্গা সাধারণত গজ, ঘোটক, নৌকা এবং দোলা এই চার প্রকার বাহনেই আগমন এবং গমন করেন। দেবীর আগমন এবং গমন নির্ভরশীল প্রকৃতির উপর বা অন্য ভাবে বলা যায় আগমন বা গমনের উপর প্রকৃতির পরিবর্তন নির্ভর করে।
দেবী দুর্গার আগমন বা গমন নির্ভর করে সপ্তমী এবং দশমী তিথি কোন বার তার উপর। যেমন সপ্তমী এবং দশমী তিথি রবিবার এবং সোমবার হলে গজে আগমন বা গমন নির্দেশ করে। সপ্তমী এবং দশমী তিথি মঙ্গলবার এবং শনিবার হলে ঘোটকে বা ঘোড়ায়