বিচার না হলে দুর্গাবরণ নয়: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অভিনেত্রী অপরাজিতার কড়া বার্তা

আরজি কর কাণ্ড পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় এক মাস। সামনে দুর্গাপূজা, বাকি মাত্র আরেকটি মাস। কিন্তু এরই মধ্যে রাজ্য জুড়ে চলছে বিচার চেয়ে আন্দোলন। সোমবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষকে পুজো এবং উৎসবে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য জানিয়েছেন, তিনি এ বছর পুজোর আনন্দে মেতে উঠতে পারছেন না।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মামলার শুনানিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাজিতা আঢ্য বলেন, তিনি এ দিনের শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিলেন এবং আশাবাদী ছিলেন যে সুবিচার পাবেন নিহত তরুণী চিকিৎসক। কিন্তু সোমবার দুপুরের পরে অভিনেত্রী আশাহত হয়েছেন এবং
উৎসবের আনন্দে প্রতিবাদের বার্তা: পুজোর ক্যানভাসে ছায়া ফেলল আরজি কর কাণ্ড

কলকাতার এক পুজোয় প্রতিবাদের ছবি
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪: স্বর্গের দেবীকে পূজার অর্ঘ্য দেওয়া কি সম্ভব, যখন মর্ত্যের কন্যা যন্ত্রণা ভোগ করে?
আড্ডার বদলে প্রতিবাদ: কফি হাউসের টেবিলে জ্বলল মোমবাতি, বাজল প্রতিবাদের সুর

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪: কফি হাউসের নাম বাঙালির আড্ডার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রেমের সূচনা হোক বা বিচ্ছেদের কষ্ট, কফি হাউসের টেবিল সব কিছুর সাক্ষী। তবে এবার এক নতুন উপলক্ষে এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটি যুক্ত হলো। আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল কফি হাউস। টেবিলের প্রতিটি কোণায় জ্বালানো হলো মোমবাতি। শুরু হলো প্রতিবাদের গান। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এক হয়ে গেলেন সকলে। কফি হাউস ফের প্রমাণ করে দিল, কলকাতা তার পুরনো চেতনা হারায়নি। এই কফি হাউস এখনও রয়ে গেছে মানুষের শক্তি ও প্রতিবাদের মঞ্চ হিসেবে।
প্রতিবাদী কফি হাউস
যখন সারা দেশজুড়ে আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে মানুষ, ঠিক সেই সময় কফি হাউসও
এবার পুজোয় শাস্ত্রের বিধান খন্ডাবে “শাস্ত্রী”

অম্বিকা কুন্ডু, কলকাতা: গণেশ চতুর্থীর এই শুভ দিনে প্রকাশ্যে এলো পথিকৃৎ বসু পরিচালিত “শাস্ত্রী”।
পূজোর বাকি মাত্র ৩০ দিন। অন্যান্য বার এই সময় পুজোর আমেজে মেতে ওঠে কলকাতা। বাঙালি সব থেকে বড় উৎসব বলে কথা। তবে এবার শুধুই প্রতিবাদ আর প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদের মাঝে ও আস্তে চলেছে পথিকৃৎ বসু পরিচালিত শাস্ত্রী। ছবির পোস্টার সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে তার ক্যাপশনে লেখা হয় “শাস্ত্রের বিধান, খন্ডাবে শাস্ত্রী।”
দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের ছোট গল্প অবলম্বন থেকে নেওয়া এই গল্পটি। ছবি সংগীত পরিচালনায় রয়েছে ইন্দ্রানী দাশগুপ্ত। এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে দেবশ্রী রায়, রজতাভ দত্ত, মিঠুন চক্রবর্তী, অনির্বাণ চক্রবর্তী ও শাশ্বত চ্যাটার্জিকে। এছাড়াও থাকছেন কাঞ্চন মল্লিক ও
দিনবদলের রবিবার: বিচার চেয়ে তীব্র প্রতিবাদে ফুঁসল রাজ্য

০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪: (৯ অগস্ট ২০২৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪)— এই ৩০ দিনের সময়কাল যেন প্রতীক হয়ে উঠেছে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার জন্য। আর এই ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ ক্রমশ আছড়ে পড়ছে নতুন নতুন রূপে। শুক্রবারের সেই ভয়ানক ঘটনার পর থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ এখন রাজ্যের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে গিয়েছে। চিকিৎসকদের আন্দোলন, রাস্তার আন্দোলন, আর এখন তা সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরজি কর থেকে সারা রাজ্যে
আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের রক্তমাখা দেহ উদ্ধারের পর থেকেই প্রতিবাদের ঢেউ শহরের অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় আন্দোলন। সেই
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রোববার জুড়ে উত্তাল হবে কলকাতা

৮ই সেপ্টেম্বর, রবিবারঃ আজ অর্থাৎ রবিবার কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার এক মাস পূর্ণ হচ্ছে। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন অংশে দিনভর প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কেউ ছবি আঁকবেন, কেউ মিছিলে হাঁটবেন, আবার কেউ নীরবতাকে প্রতিবাদের হাতিয়ার করবেন।
১৪ আগস্টের ঘটনার মতোই, রোববারও ‘রাত দখল’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে এ বার শুধু কলকাতাই নয়, রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও এই কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবারের কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে “শাসকের ঘুম ভাঙাতে নতুন গানের ভোর”। রোববার বিকেল ৫টায় টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করেছেন টলিউডের শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
যাদবপুর
‘আমাদের দুর্গা যেন বিচার পায়’: কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদেরও পথে নামার ডাক

৭ই সেপ্টেম্বর, শনিবারঃ আর জি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার সুবিচারের দাবি জানিয়ে এ বার পথে নামছেন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরাও। আগামী রবিবার কুমোরটুলি আর্ট গ্যালারির সামনে থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই সেই মিছিলের জন্য একটি পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে লেখা— ‘কুমোরটুলির আওয়াজ, আমাদের দুর্গা যেন ন্যায় পায়’।
এই মিছিলের আহ্বান জানিয়েছে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের সংগঠন, ‘কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী ও সংস্কৃতি সমিতি’। সংগঠনের সম্পাদক বাবু পাল জানিয়েছেন, ‘‘কুমোরটুলি হল মাটির দুর্গা তৈরির কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু একজন নারীর, আমাদের সমাজের এক ‘রক্তমাংসের দুর্গা’-র উপর অত্যাচার হয়েছে, তাঁকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা একত্রিত হয়ে পথে নামছি।’’ পুজোর সময়সীমার
টলিউডের তারকাদের রাত দখলের আন্দোলন: রুকমা, তনুশ্রী, মীর, মিমি ও দিতিপ্রিয়া একযোগে সোচ্চার

৪ই সেপ্টেম্বর, টলিউডের একাংশ আবারও পথে নামল রাত দখলের আন্দোলনে। তনুশ্রী চক্রবর্তী, রুকমা রায় সহ একাধিক শিল্পী এবং নাগরিকদের একসঙ্গে দেখা যায় ‘We want justice’ স্লোগান দিতে।
গায়ক সপ্তক সানাই দাস তাঁর স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে হাজরা মোড়ে উপস্থিত হন। গানের মাধ্যমে রাতকে আরও উজ্জ্বল করেন। একই অনুষ্ঠানে সৌরভ পালোধি এবং পরিচালকরা ছবির আঁকা ও স্লোগানে অংশ নেন।
অন্যদিকে, মীর আফসার আলি রুবিতে যোগ দেন এবং সেখানে একাধিক ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে তিনি ‘We want justice’ স্লোগান দেন।
View this post on Instagram A post shared by Mir Afsar Ali (@mirafsarali)
যাদবপুর ৮ বি এলাকায় এদিন নবারুণ বসু
প্রতিবাদের ঢেউয়ে কুমোরটুলি শূন্য হয়ে পড়েছে

কুমোরটুলির সরু গলিতে তরুণীরা নিজেদের ছবির জন্য মডেল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে প্রতিমাগুলো প্লাস্টিকে মোড়ানো। মৃৎশিল্পীদের কাজের জায়গায় এইসব আলোকচিত্রীদের উপস্থিতি এতটাই বেড়ে গেছে যে, প্রতিমা তৈরির ঘরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। সেখানে পুজো উদ্যোক্তাদের দল দোকান থেকে দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর উৎসাহী দর্শকদের ভিড়ে সরু অলিগলির পরিস্থিতি বেশ অসুবিধাজনক। কিন্তু এর মধ্যেই অক্লান্ত শ্রমে মৃন্ময়ী প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন মৃৎশিল্পী এবং তাদের কারিগরেরা।
প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আগে কুমোরটুলির এই চেনা দৃশ্য এবার ভিন্ন। দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে গণেশ এবং বিশ্বকর্মা পুজোর প্রস্তুতি চললেও, কুমোরটুলিতে ভিড়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। আর জি কর-কাণ্ডের পর থেকেই শহরের পরিস্থিতি উত্তাল। শহরবাসী কুমোরটুলিতে
আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে সুইৎজ়ারল্যান্ডে প্রবাসী ভারতীয়দের প্রতিবাদ, সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা, যেখানে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়, তা দেশ ছাড়িয়ে প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী ভারতীয়েরা এ ঘটনার ন্যায্য বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এবার সুইৎজ়ারল্যান্ডের প্রবাসী ভারতীয়রাও পথে নেমে মোমবাতি হাতে নীরব প্রতিবাদ জানালেন। তাঁদের হাতের পোস্টারে লেখা ছিল, ‘বিচার চাই’ এবং ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হন’।
এই প্রতিবাদী জমায়েতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই অংশগ্রহণ করেছেন, এমনকি শিশুসন্তানদেরও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। তাঁদের কথায়, ‘‘আরজি করে যা ঘটেছে তা কেবলমাত্র একটি স্থানের ঘটনা নয়, এটি বাঙালি, ভারতীয় এবং বিশ্ব নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ