দাবিপূরণ না হলে মঙ্গলবার থেকে সর্বাত্মক চিকিৎসক ধর্মঘট, সিনিয়র-জুনিয়রদের যৌথ হুঁশিয়ারি

সোমবারের মধ্যে সকল দাবি মানা না হলে আবারও ধর্মঘটে নামবেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার, সিনিয়র ডাক্তারদের সাথে বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকরা একযোগে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, “সোমবারের মধ্যে যদি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে না নেন, তবে মঙ্গলবার আমরা পূর্ণাঙ্গ ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।” তিনি আরও জানান, এই ধর্মঘটে সিনিয়র ডাক্তাররাও তাঁদের পাশে থাকবেন। সাংবাদিক বৈঠকে দেবাশিসের সাথে সিনিয়র এবং অন্যান্য জুনিয়র ডাক্তাররাও উপস্থিত ছিলেন।
জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন। আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সংস্কারের দাবিতে গত দুই মাস ধরে চলছে তাঁদের এই আন্দোলন। সরকার এখনো তাঁদের দাবির
দেবীর অভিমানের সুর: নারীর সুরক্ষার বার্তা নিয়ে মহেশতলার মঞ্চে নাটক ‘দেবী’

মহেশতলার ইডেনসিটি চতুর্থীর দিন মেতে উঠেছিল প্রীতম মুখার্জির নির্দেশনায় নাটক ‘দেবী’-র পরিবেশনায়। তিলোত্তমার আকাশে বিষাদের সুরে, উঠে আসে প্রতিবাদের কন্ঠ। নারীর প্রতি সমাজের নৃশংসতা এবং অবমাননা দেখে দেবী দুর্গার মর্তে আগমনে অনীহা, এবং তাঁকে রাজি করানোর জন্য মহাদেবের অঙ্গীকার নিয়ে সাজানো এই নাটক।
এই নাটকের মূল বিষয় ছিল নারী সুরক্ষা এবং সমাজে এটির গুরুত্ব। দেবারতি ভৌমিকের লেখনীতে ফুটে উঠেছে একটি বাস্তবিক বার্তা—নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের কর্তব্য। নাটকটি যে শুধুমাত্র এক সামাজিক প্রতিবাদ নয়, বরং নারী অধিকার নিয়ে একটি নিবেদন, তা দর্শকের মনে গভীর ছাপ ফেলে।
নাটকে অভিনয় করেছেন প্রীতম, দেবপ্রিয়া, দেবজিৎ, অনুসূয়া, সুমনা, অমিতাভ, নীলাদ্রি, সমরেশ, বিপাশা
মল্লিক বাড়িতে নেই ১০০ বছর পূর্তির দূর্গা পুজোর উৎসব

অম্বিকা কুন্ডু, কলকাতা:
দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো। চারিদিক আরজি কর হসপিটাল এন্ড কলেজে এর তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের কান্ড কে ঘিরে চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে রয়েছে। ডাক্তারদের ধরনা এবং সাধারণ জনগণের রাত দখল নিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ। বাতাসে যেন নেই উমার আগমনের উৎসাহ । বাতাসে ভাসছে পুজোর গন্ধ।ইতি মধ্যে মা এর জন্য তৈরি হচ্ছে প্যান্ডেল,অথচ অন্যান্য বারের মতন সেই পুজো পুজো ভাব। কিন্তু সকলেই বিচার পাওয়ার আশায়, সবাই দিন গুনছে কবে দোষী দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি পাবে?
মল্লিক বাড়ির দুর্গা পুজো উৎসব
তারই সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে গত ১০০বছরের মল্লিক বাড়ির দুর্গাপূজায় এবার থাকছে না উৎসব। অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক
পুজোর আগে ফ্যাশনে প্রতিবাদের ঢেউ: আরজি কর আন্দোলনের সমর্থনে টি-শার্টের জোয়ার!

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪: আরজি কর আন্দোলনের পটভূমিতে কলকাতায় টি-শার্ট ফ্যাশনে বিপ্লব ঘটেছে। ‘আর কবে?’ স্লোগান দিয়ে অরিজিৎ সিংহের গাওয়া গানটি যেমন আন্দোলনের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে, সেই গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তৈরি হয়েছে নানা ধরনের টি-শার্ট। মূলত ‘আরজি কর আন্দোলন’-এর সমর্থনে বাজারে এসেছে এসব টি-শার্ট। প্রতিটি টি-শার্টেই থাকছে প্রতিবাদী স্লোগান, যা আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ফ্যাশনে প্রতিবাদের ছোঁয়া
টি-শার্টের ওপর মুঠো করা হাতের ছবি ও সাদা হরফে লেখা ‘আর কবে?’ স্লোগান যেন নতুন প্রজন্মের প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে। শুধু এই একটি নয়, ‘আমার দুর্গা বিচার চায়’, ‘বিচার চাই’, ‘জাস্টিস ফর তিলোত্তমা’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া
দীর্ঘ বৈঠকের পর মমতা মেনে নিলেন অধিকাংশ দাবি, তবে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় চিকিৎসকেরা

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ঃ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এটিই তাদের পঞ্চম এবং শেষ প্রচেষ্টা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে পাঁচ দফা দাবিতে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠক চলে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। বৈঠক শেষে ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা বাসে করে ফিরে যান সল্টলেকের ধর্নামঞ্চে, যেখানে তাঁরা গত সাত দিন ধরে আন্দোলনে রয়েছেন। আলোচনার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করলে এক চিকিৎসক জানান, ‘‘আলোচনা মোটের উপর ইতিবাচক হয়েছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরানো হচ্ছে।’’
বৈঠকের কিছু পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত করেন, চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী মঙ্গলবারই সিপি
বৃষ্টির মধ্যে প্রতিবাদ: আরজি কর-কাণ্ডের বিরুদ্ধে নার্স ও প্রাক্তন সেনাকর্মীদের মিছিল

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪: অবিরাম বৃষ্টির মধ্যেও প্রতিবাদের রেশ থেমে থাকেনি। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে অঝোর ধারায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত হলো প্রতিবাদ মিছিল। ছাতা মাথায় নিয়ে নার্স, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী এবং শহরের বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীরা এগিয়ে এলেন আরজি কর-কাণ্ডের বিরুদ্ধে। মিছিলের সামনের দিকে থাকা অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে চললেন। উদ্যোক্তাদের দাবি, দুর্যোগের আগেই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে তেমন সাড়া মিলবে না, এমন আশঙ্কা থাকলেও বাস্তবে দেখা যায়, বহু মানুষ ছাতা মাথায় নিয়ে মিছিলে শামিল হয়েছেন।
বিভিন্ন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকেরা, যাঁরা অবসরপ্রাপ্ত মেজর এবং ব্রিগেডিয়ার, তাঁরা আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার দাবি করে
মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা আগমন: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সমবেদনা জানালেন মমতা

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনে আচমকা উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতিবাদে তাঁরা সেখানে ধর্নায় বসেছেন। মমতার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছানোর পর ধর্নাস্থলে বিচারের দাবিতে স্লোগান ওঠে। বেশ কিছুক্ষণ মাইক হাতে দাঁড়িয়ে থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য শুরু করতে পারলেন না। ধর্নাস্থলে এক ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী সকলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছিলেন যেন তাঁকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেও আমি এখানে এসেছি। আপনারা যে আন্দোলন করছেন, তার জন্য আমি আপনাদের সম্মান জানাচ্ছি। ছাত্র আন্দোলন থেকে আমি উঠে এসেছি। গতকাল
আকাশে প্রতিবাদের বার্তা! ‘অভয়া’র ন্যায়ের দাবিতে কালো-সাদা ঘুড়ি

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪: নীল আকাশে মেঘের সারি ভেসে বেড়াচ্ছে। কাশফুল ফুটেছে দিগন্ত জুড়ে। কিন্তু এই শরৎ বাংলায় পুজোর আনন্দের বদলে প্রতিবাদের হাওয়া বইছে!
জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান: দাবি না মানা হলে চলবে আন্দোলন

বিকেল ৫টার পরও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেনি জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থিতি বজায় রেখেছে। দাবি পূরণ না হলে অবিরত এই অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য ভবনের সূত্র মারফত জানা গেছে, চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল ভিতরে আসার চেষ্টা করলে তাদের স্বাগতম জানানো হবে। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, তারা ডেপুটেশন দিতে আসেননি। তাঁদের দাবিগুলি স্পষ্ট;
‘ন্যায় চাই’ স্লোগান ধ্বনিত, অব্যাহত কর্মবিরতি

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪: সারা রাত চলেছে প্রতিবাদ-আন্দোলনের ঢেউ। পরের দিন ভোরে, ক্লান্তির লেশমাত্র না রেখে নতুন উদ্যমে আন্দোলন শুরু হলো।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলন মঞ্চে প্রজেক্টর ও পর্দার আয়োজন ছিল। এক তরুণী চিকিৎসক-ছাত্রীর প্রতীকী ছবিতে মালা দিয়ে বেদীটি সাজানো হয়েছিল, এবং মোমবাতি প্রজ্বলিত করে শ্রদ্ধা নিবেদন চলছিল। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের মাঝে একটা ‘বিশ্বাস’-এর ছাপ স্পষ্ট ছিল। তবে, সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাদের মনোবলে চিড় ধরালো, যা তারা এক মাস ধরে লালন করছিল।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নিলে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।