আজকের উৎসবঃ মাসিক শিবরাত্রি, মহাদেবের আরাধনার এক পবিত্র রাত

মাসিক শিবরাত্রি: মানে ও মাহাত্ম্য
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মাসিক শিবরাত্রি। ‘মাসিক’ মানে মাসিক এবং ‘শিবরাত্রি’ মানে শিবের রাত। প্রতি মাসে পালিত হলেও, মহাশিবরাত্রি বছরে একবার হয়। মনে করা হয় যে, মাসিক শিবরাত্রি ব্রত পালন করলে অবিবাহিত নারীরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী লাভ করেন। এই ব্রত রাগ, হিংসা, অহংকার এবং লোভের মতো অশুভ প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
মাসিক শিবরাত্রির গুরুত্ব
মাসিক শিবরাত্রি শিব ঠাকুরের প্রতি নিবেদিত এক শক্তিশালী এবং শুভ ব্রত। এটি জীবনের উন্নতি এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল কামনায় পালন করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, যদি সারাদিন ও সারারাত “ওম নমঃ শিবায়” মন্ত্র জপ করা যায়
আজকের উৎসবঃ কার্তিক পূর্ণিমা ব্রত, জেনে নিন এর কাহিনী, বিধি ও তাৎপর্য

ত্রিপুরাসুর সংহার এবং ধর্মীয় তাৎপর্য
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমাকে কার্তিক পূর্ণিমা বলা হয়। এই দিনে, মহাদেব ত্রিপুরাসুর নামক অসুরকে বধ করেন, তাই একে ত্রিপুরি পূর্ণিমা নামেও ডাকা হয়। যদি এই দিনে কৃত্তিকা নক্ষত্র থাকে, তবে এটি মহাকর্তিকী নামে পরিচিত হয়। আবার যদি এই দিনে ভরণী নক্ষত্র থাকে, তবে তা শুভ ফল প্রদান করে। এবং রোহিণী নক্ষত্র থাকলে কার্তিক পূর্ণিমার গুরুত্ব দশগুণ বেড়ে যায়।
ধারণা করা হয় যে, কার্তিক পূর্ণিমার প্রাক্কালে ভগবান বিষ্ণু মৎস্য অবতার গ্রহণ করেছিলেন। এই দিনে গঙ্গা স্নানের পর প্রদীপ দান এবং বিভিন্ন দানের মাধ্যমে দশটি যজ্ঞের ফল লাভ করা যায়। কার্তিক পূর্ণিমাকে দেবতারা (ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব
আজকের উৎসব প্রদোষ ব্রত (কৃষ্ণপক্ষ): মুক্তি ও সাফল্য লাভের পথ

হিন্দু ধর্মীয় ক্যালেন্ডারের অন্যতম পবিত্র উপবাস হল প্রদোষ ব্রত, যা প্রতি মাসে দু’বার পালন করা হয়। প্রদোষ ব্রত বা প্রদোষম মূলত মহাদেবকে উৎসর্গ করে পালন করা হয় এবং এটি চন্দ্র পক্ষের ১৩তম দিনে পালিত হয়। এই দিনটি পুরোপুরি ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীকে নিবেদিত। প্রদোষ ব্রত হল সাহস, বিজয় ও ভয়মুক্তির প্রতীক।
প্রদোষ ব্রত: মুক্তি ও সাফল্য অর্জনের সাধন
বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে ভগবান শিব অত্যন্ত দয়াশীল হয়ে থাকেন এবং তাঁর ভক্তদের সুখ-সমৃদ্ধি ও আনন্দ প্রদান করেন। যদি কেউ নিবিড় ভক্তি ও আন্তরিকতার সাথে প্রদোষ ব্রত পালন করে, তবে ভগবান শিব তার সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন। তাই
আজকের উৎসব ভাদ্রপদ পূর্ণিমা ব্রত : ভগবান সত্যনারায়ণ ও উমা-মহেশ্বর ব্রতের মাহাত্ম্য

ভাদ্রপদ পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। হিন্দু পঞ্জিকার মতে, ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা দিনটিকে ভাদ্রপদ পূর্ণিমা বলা হয়। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর সত্যনারায়ণ রূপের পূজা করা হয়। একই সঙ্গে উমা-মহেশ্বর ব্রতেরও পালন করা হয়। বিশেষভাবে এই দিনটি পিতৃপক্ষের সূচনার জন্যও বিখ্যাত, যা আশ্বিন অমাবস্যায় সমাপ্ত হয়।
ভাদ্রপদ পূর্ণিমা ব্রত পূজা বিধি
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, ভাদ্রপদ পূর্ণিমায় ভগবান সত্যনারায়ণকে পূজা করলে মানুষের সমস্ত কষ্ট দূর হয় এবং জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। এই ব্রতের পূজা বিধি নিম্নরূপ:
● সকালে উঠে ব্রত পালনের সংকল্প গ্রহণ করুন। পবিত্র নদী, সরোবর বা পুকুরে স্নান করুন।
● ভগবান সত্যনারায়ণের পূজা করুন এবং তাঁকে নৈবেদ্য, ফল ও
আজকের উৎসব মাসিক শিবরাত্রি: হিন্দু ক্যালেন্ডারের অনুসারে পালিত একটি পবিত্র রাত্রি

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতিটি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে (১৪তম দিন) মাসিক শিবরাত্রি উদযাপিত হয়। ‘মাসিক’ অর্থ মাসিক এবং ‘শিবরাত্রি’ অর্থ মহাদেবের রাত্রি। মাসিক শিবরাত্রি মাসে একবার পালিত হয়, আর মহাশিবরাত্রি বছরে একবার পালিত হয়। এই দিনটি ব্রহ্মচারী নারীদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এই উপবাস তাদের কাঙ্ক্ষিত সঙ্গী লাভে সহায়তা করে। এই উপবাস শুধুমাত্র ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না, এটি ক্রোধ, ঈর্ষা, অহংকার এবং লোভের মতো অমঙ্গলের অনুভূতিকে দমন করতেও সহায়ক।
মাসিক শিবরাত্রির তাৎপর্য
মাসিক শিবরাত্রি মহাদেবকে নিবেদিত একটি শক্তিশালী ও শুভ উপবাস হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি পুরুষ ও মহিলারা তাদের জীবনে উন্নতি ও ভবিষ্যতের কল্যাণের জন্য পালন করেন। বিশ্বাস করা