দাবিপূরণ না হলে মঙ্গলবার থেকে সর্বাত্মক চিকিৎসক ধর্মঘট, সিনিয়র-জুনিয়রদের যৌথ হুঁশিয়ারি

সোমবারের মধ্যে সকল দাবি মানা না হলে আবারও ধর্মঘটে নামবেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার, সিনিয়র ডাক্তারদের সাথে বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকরা একযোগে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, “সোমবারের মধ্যে যদি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে না নেন, তবে মঙ্গলবার আমরা পূর্ণাঙ্গ ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।” তিনি আরও জানান, এই ধর্মঘটে সিনিয়র ডাক্তাররাও তাঁদের পাশে থাকবেন। সাংবাদিক বৈঠকে দেবাশিসের সাথে সিনিয়র এবং অন্যান্য জুনিয়র ডাক্তাররাও উপস্থিত ছিলেন।
জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন। আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সংস্কারের দাবিতে গত দুই মাস ধরে চলছে তাঁদের এই আন্দোলন। সরকার এখনো তাঁদের দাবির
দীর্ঘ বৈঠকের পর মমতা মেনে নিলেন অধিকাংশ দাবি, তবে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় চিকিৎসকেরা

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ঃ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এটিই তাদের পঞ্চম এবং শেষ প্রচেষ্টা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে পাঁচ দফা দাবিতে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠক চলে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। বৈঠক শেষে ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা বাসে করে ফিরে যান সল্টলেকের ধর্নামঞ্চে, যেখানে তাঁরা গত সাত দিন ধরে আন্দোলনে রয়েছেন। আলোচনার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করলে এক চিকিৎসক জানান, ‘‘আলোচনা মোটের উপর ইতিবাচক হয়েছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরানো হচ্ছে।’’
বৈঠকের কিছু পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত করেন, চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী মঙ্গলবারই সিপি
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের আহ্বান

অম্বিকা কুন্ডু, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, কলকাতা: গত দু’দিন এর মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক অসফল হওয়ার পর আরও একবার আজ বিকেল ৫টায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটে তার নিজ বাসভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বান জানিয়ে চিঠি লেখেন। তবে এবারেও মুখ্যসচিব উল্লেখ করেছেন কোনরূপ লাইভ স্ট্রিমিং,ভিডিওগ্রাফি হবেনা।
গত দিন জুনিয়র ডাক্তারেরা লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিওগ্রাফি ছাড়াই রাজি হয়েছিল বৈঠকের জন্য কিন্তু শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী তরফ থেকে জানানো হয় অনেক দেরি হয়ে গেছে এখন আর সম্ভব নয়। এই বলে ডাক্তারদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এইবার জুনিয়র ডাক্তাররা কি করবেন?এই আহ্বান কি তারা সাড়া দেবেন?
মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা আগমন: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সমবেদনা জানালেন মমতা

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনে আচমকা উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতিবাদে তাঁরা সেখানে ধর্নায় বসেছেন। মমতার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছানোর পর ধর্নাস্থলে বিচারের দাবিতে স্লোগান ওঠে। বেশ কিছুক্ষণ মাইক হাতে দাঁড়িয়ে থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য শুরু করতে পারলেন না। ধর্নাস্থলে এক ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী সকলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছিলেন যেন তাঁকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেও আমি এখানে এসেছি। আপনারা যে আন্দোলন করছেন, তার জন্য আমি আপনাদের সম্মান জানাচ্ছি। ছাত্র আন্দোলন থেকে আমি উঠে এসেছি। গতকাল
আর জি কর-কাণ্ড: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী মোক্ষ

কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে?
‘অভিভাবক’ হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী জুনিয়র ডাক্তাররা

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে ‘উন্মুক্ত আলোচনায়’ আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে তাঁরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত, কিন্তু সেই আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন ‘অভিভাবক’ হিসাবে উপস্থিত থাকেন। তাঁদের মতে, আলোচনা কোথাও হোক না কেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি পরিস্থিতি নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তাররা প্রস্তাব করেন, ‘আমরা সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৩০ জনের একটি দল গঠন করতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে, স্বাস্থ্য ভবন বা নবান্নে, যে কোনও জায়গায় আলোচনায় যেতে রাজি। পুরো বৈঠক গণমাধ্যমের সামনেই হওয়া উচিত।’
এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বৈঠকে ডাকলেও, ডাক্তাররা সেই বৈঠকে অংশ
জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে সাধারণ মানুষ: খাবার, জল, ওআরএস নিয়ে দাঁড়ালেন সবাই

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪: জল, খাবার, ওআরএস, বিস্কুট—এভাবেই সাধারণ মানুষ হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সাহায্য করতে। সবাই যে কাছের বাসিন্দা, তা নয়। কেউ এসেছেন গড়িয়া থেকে, কেউ মুকুন্দপুর থেকে, আবার কেউ কলেজ স্কোয়ার বা সিঁথি থেকে। সবাই এসেছেন একটাই দাবিতে, আর তা হল—’আরজি কড়ের জন্য ন্যায় চাই’। নিজেদের দায়িত্বে বেঁধে থাকতে না পারলেও, যাঁরা দিনের পর দিন এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তাঁরা—’আমরা একসঙ্গে আছি, আমাদের একটাই লক্ষ্য—বিচার চাই।’
একইভাবে, পঞ্চম শ্রেণির এক ছোট্ট ছাত্রও মঙ্গলবার রাতে তার মায়ের সঙ্গে এসে হাজির হয় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। তার ইচ্ছা ছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের
জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান: দাবি না মানা হলে চলবে আন্দোলন

বিকেল ৫টার পরও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেনি জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থিতি বজায় রেখেছে। দাবি পূরণ না হলে অবিরত এই অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য ভবনের সূত্র মারফত জানা গেছে, চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল ভিতরে আসার চেষ্টা করলে তাদের স্বাগতম জানানো হবে। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, তারা ডেপুটেশন দিতে আসেননি। তাঁদের দাবিগুলি স্পষ্ট;
‘ন্যায় চাই’ স্লোগান ধ্বনিত, অব্যাহত কর্মবিরতি

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪: সারা রাত চলেছে প্রতিবাদ-আন্দোলনের ঢেউ। পরের দিন ভোরে, ক্লান্তির লেশমাত্র না রেখে নতুন উদ্যমে আন্দোলন শুরু হলো।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলন মঞ্চে প্রজেক্টর ও পর্দার আয়োজন ছিল। এক তরুণী চিকিৎসক-ছাত্রীর প্রতীকী ছবিতে মালা দিয়ে বেদীটি সাজানো হয়েছিল, এবং মোমবাতি প্রজ্বলিত করে শ্রদ্ধা নিবেদন চলছিল। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের মাঝে একটা ‘বিশ্বাস’-এর ছাপ স্পষ্ট ছিল। তবে, সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাদের মনোবলে চিড় ধরালো, যা তারা এক মাস ধরে লালন করছিল।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নিলে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।
লালবাজারে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ: নগরপালের ইস্তফার দাবি, পুলিশের সাথে টানটান উত্তেজনা

কলকাতা: নগরপালের পদত্যাগের দাবিতে লালবাজারের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত, তবে দুপুর দুটোর দিকে লালবাজারের কাছে পৌঁছামাত্রই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের মিছিল আটকে দেয়। ব্যারিকেডের সামনে বসে পড়েই নিজেদের প্রতিবাদ জানান চিকিৎসকরা।
Huge Public Rally By #Kolkata Doctors!!
20 days have passed but justice has not been given yet!