জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মালপোয়া রেসিপি

জন্মাষ্টমী, যা কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী নামেও পরিচিত, একটি হিন্দু ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উদযাপনের জন্য আয়োজন করা হয়। সারা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি হিন্দু পরিবার এবং মন্দিরে এই উৎসবটি অত্যন্ত ধুমধাম করে পালন করা হয়। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষও এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে আনন্দ উপভোগ করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বিভিন্ন মিষ্টি ও অন্যান্য পদ পরিবেশন করা হয়, বিশেষত দুধের মিষ্টি এবং মাখন, যেহেতু তিনি সেগুলো পছন্দ করতেন। বিভিন্ন দেশে বসবাসরত হিন্দুরা এটি বিভিন্নভাবে উদযাপন করেন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাঙালিরা ‘মালপুয়া’ রেসিপি তৈরি করেন, যা জন্মাষ্টমীর ভোগে একটি অবশ্যই থাকতে হবে এমন পদ। এটি একটি প্যানকেকের মতো মিষ্টি পদ, যা প্রধান উপকরণ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের উৎসবের পরম্পরা

আজ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশজুড়ে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথি উদযাপনে বিভিন্ন রাজ্যে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মেতে উঠেছে ভক্তরা। মথুরা থেকে উড়ুপি, মণিপুর থেকে গুজরাতের দ্বারকা—জেনে নিন জন্মাষ্টমী উৎসবের কিছু বিশেষ পরম্পরা।
মণিপুরের উৎসব
উত্তরপূর্ব ভারতের মণিপুরে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয়। গোটা দিন উপোস করে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি নিবেদন করে পূজা করেন এখানে বাসিন্দারা। ইম্ফলের মহাবলি মন্দিরে আয়োজন করা হয় মহা সমারোহে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান। এখানে ফুলের সাজে শ্রীকৃষ্ণকে সাজানো হয়, এবং শ্রী গোবিন্দ মন্দিরে ঐতিহ্যবাহী রাসলীলা নৃত্যের আয়োজন করা হয়, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার লীলা তুলে ধরা হয়।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির
পুরী শহরে জগন্নাথ মন্দিরের জন্মাষ্টমী
জন্মাষ্টমীর উপোস: শরীর সুস্থ রাখার কিছু জরুরি টিপস

জন্মাষ্টমীতে উপোস পালন করেন অনেকেই, শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি প্রকাশ করতে। এই দিনটি কৃষ্ণভক্তদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস করা হয়, উপোস করে শ্রীকৃষ্ণের পুজো করলে জীবনে সফলতা আসে। তবে উপোসের সময় শরীর সুস্থ রাখতে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে উপোসের দিনেও শরীর সুস্থ রাখা যায়।
ফল খাবার প্রয়োজনীয়তা
উপোসের সময় ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ফল শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকে রক্ষা করে, এবং পেটকে কিছুটা হলেও ভর্তি রাখে। এছাড়াও, ফল খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যাও কমে যায়। তাই উপোসের সময় অবশ্যই ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
হালকা খাবার খান
উপোসের দিন ভারী
আজ শুভ কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী

জন্মাষ্টমী হল শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিবস হিসেবে উদযাপিত একটি ধর্মীয় উৎসব। মথুরা, যেখানে দানব রাজা কংস রাজত্ব করতেন, সেখানেই শ্রীকৃষ্ণ দেবকীর অষ্টম সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। সেই সময় ছিল মধ্যরাত্রি এবং রোহিণী নক্ষত্রের উদয়। এই কারণে, কৃষ্ণাষ্টমী প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উদযাপন করে।
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী মুহুরত:
যখন অষ্টমী মধ্যরাত্রির সময় বিদ্যমান থাকে, তখন উপবাস পরের দিন রাখা উচিত।
যদি দ্বিতীয় দিন মধ্যরাত্রি পর্যন্ত অষ্টমী তিথি বিদ্যমান থাকে, তবে উপবাস দ্বিতীয় দিনেই রাখা উচিত।
যদি দুই দিনের মধ্যে একদিন রাত্রির সময় অষ্টমী এবং রোহিণী নক্ষত্র বিদ্যমান থাকে, তবে সেই রাতের পরের দিন উপবাস রাখতে হবে।
যদি দুই
জন্মাষ্টমীতে বানান তালের মালপোয়া

ভাদ্র মাসে জন্ম হওয়ার কারণে পাকা তাল কৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়। জন্মাষ্টমীতে তাই তালের বড়া, তাল ক্ষীর, তালের মালপোয়া, তালের লুচির মতো নানাবিধ সুস্বাদু খাবার সাজিয়ে দেওয়া হয়। আসুন, এবার শিখে নিই তালের মালপোয়ার পাক প্রণালী।
উপকরণ:
পাকা তাল – ১টি (মাঝারি আকারের)
চিনি – ১ কাপ
ময়দা – ১ কাপ
নারকেল গুঁড়ো – ১/২ কাপ
এলাচ – ২-৩টি (গুঁড়ো করে)
দুধ – ১/২ কাপ
তেল – ভাজার জন্য
বাদাম/কাজু – সাজানোর জন্য (ঐচ্ছিক)
প্রণালী:
তাল প্রস্তুতি:
প্রথমে পাকা তালের খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরো করে নিন।
তারপর একটি ব্লেন্ডারে তালের টুকরো, দুধ ও চিনি মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন।
ময়দার