🔱 গুরু পূর্ণিমা ২০২৫: কবে, কেন ও কীভাবে পালন করবেন এই পবিত্র দিন? জানুন পূর্ণ তথ্য!

গুরু পূর্ণিমা ২০২৫ পড়েছে ১০ই জুলাই, বৃহস্পতিবার। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় মহর্ষি বেদব্যাসের জন্মদিন ও গুরু পূজার দিন। জেনে নিন দিনটির মাহাত্ম্য, তারিখ, মুহূর্ত ও পূজা পদ্ধতি।
পথ আটকান দেবী লক্ষ্মী! উলটো রথের পর তিনদিন কেন মন্দিরের বাইরে থাকেন জগন্নাথদেব? জানুন কারণ ও উৎসবের কাহিনি

উলটো রথের পর পুরীর রথযাত্রার সবচেয়ে রহস্যময় অধ্যায় শুরু হয়। মন্দিরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা—কিন্তু কেন প্রবেশ করতে পারেন না তাঁরা? কেন তিনদিন রথেই কাটে তাঁদের দিন? জানুন দেবী লক্ষ্মীর অভিমান ও সেই তিনদিনে পালিত উৎসবগুলির কাহিনি।
দেবী রজঃস্বলা, মন্দির বন্ধ: কামাখ্যায় শুরু হল পবিত্র আম্বুবাচি উৎসব

কামাখ্যা মন্দিরে শুরু হল চারদিনের আম্বুবাচি মেলা। নারীশক্তি, সৃষ্টিচক্র ও প্রকৃতির বন্দনায় এই সময় বন্ধ থাকে দেবীর দরজা। লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী কামাখ্যার ধামে আসেন এই অভিনব সাধনায় শামিল হতে।
হনুমান জয়ন্তী ২০২৫: উপবাস, পূজা এবং এই উৎসবের পেছনের পৌরাণিক কাহিনি

চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় হনুমান জয়ন্তী। এই দিনটি ভক্তদের জন্য ভক্তি, উপবাস ও পুজো-অর্চনার এক মহামুহূর্ত।
আজকের উৎসবঃ মাসিক শিবরাত্রি, মহাদেবের আরাধনার এক পবিত্র রাত

মাসিক শিবরাত্রি: মানে ও মাহাত্ম্য
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মাসিক শিবরাত্রি। ‘মাসিক’ মানে মাসিক এবং ‘শিবরাত্রি’ মানে শিবের রাত। প্রতি মাসে পালিত হলেও, মহাশিবরাত্রি বছরে একবার হয়। মনে করা হয় যে, মাসিক শিবরাত্রি ব্রত পালন করলে অবিবাহিত নারীরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী লাভ করেন। এই ব্রত রাগ, হিংসা, অহংকার এবং লোভের মতো অশুভ প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
মাসিক শিবরাত্রির গুরুত্ব
মাসিক শিবরাত্রি শিব ঠাকুরের প্রতি নিবেদিত এক শক্তিশালী এবং শুভ ব্রত। এটি জীবনের উন্নতি এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল কামনায় পালন করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, যদি সারাদিন ও সারারাত “ওম নমঃ শিবায়” মন্ত্র জপ করা যায়
আজ ‘সংকষ্টী চতুর্থী’: জীবনের বাধা কাটিয়ে সাফল্যের পথে

চতুর্থীর পরিচিতি
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, পূর্ণিমার চারদিন পর ও অমাবস্যার চারদিন পর চতুর্থী পালিত হয়। এই দুটি চতুর্থীর মধ্যে একটি হল বিনায়ক চতুর্থী এবং অপরটি সংকষ্টী চতুর্থী। যদি এই চতুর্থী মঙ্গলবারে পড়ে, তবে সেটি অঙ্গারকী চতুর্থী নামে পরিচিত। ভারতজুড়ে এই উৎসব জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়। তামিলনাড়ুতে এই দিনটি সংকটহর চতুর্থী নামে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
বিনায়ক চতুর্থী বা গণেশ চতুর্থী ভাদ্র মাসের চতুর্থ দিনে শুরু হয়। এই উৎসবে গণেশের মাটির মূর্তি ঘর ও অফিসে স্থাপন করে পূজা করা হয়। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, প্রসাদ নিবেদন, প্রার্থনা এবং উপবাসের মাধ্যমে দশদিন ধরে এই উৎসব পালিত হয়।
সংকষ্টী চতুর্থীর মাহাত্ম্য
জীবনের সমস্ত বাধা দূর করে জ্ঞান, সাফল্য
আজকের উৎসবঃ কার্তিক পূর্ণিমা ব্রত, জেনে নিন এর কাহিনী, বিধি ও তাৎপর্য

ত্রিপুরাসুর সংহার এবং ধর্মীয় তাৎপর্য
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমাকে কার্তিক পূর্ণিমা বলা হয়। এই দিনে, মহাদেব ত্রিপুরাসুর নামক অসুরকে বধ করেন, তাই একে ত্রিপুরি পূর্ণিমা নামেও ডাকা হয়। যদি এই দিনে কৃত্তিকা নক্ষত্র থাকে, তবে এটি মহাকর্তিকী নামে পরিচিত হয়। আবার যদি এই দিনে ভরণী নক্ষত্র থাকে, তবে তা শুভ ফল প্রদান করে। এবং রোহিণী নক্ষত্র থাকলে কার্তিক পূর্ণিমার গুরুত্ব দশগুণ বেড়ে যায়।
ধারণা করা হয় যে, কার্তিক পূর্ণিমার প্রাক্কালে ভগবান বিষ্ণু মৎস্য অবতার গ্রহণ করেছিলেন। এই দিনে গঙ্গা স্নানের পর প্রদীপ দান এবং বিভিন্ন দানের মাধ্যমে দশটি যজ্ঞের ফল লাভ করা যায়। কার্তিক পূর্ণিমাকে দেবতারা (ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব
আজকের উৎসব ‘ছট পূজা’

শক্তি ও সূর্যের আরাধনায় ছট পূজার গুরুত্ব এবং ছটী মাইয়ার ভূমিকা
ছট পূজা হিন্দুধর্মে এক বিশেষ ধর্মীয় উৎসব, যা সূর্যদেব ও ছটী মাইয়ার প্রতি নিবেদিত। সূর্যকে একমাত্র দৃশ্যমান দেবতা হিসেবে পূজা করা হয় কারণ তিনি পৃথিবীর সকল প্রাণীর জীবনদাতা। ছট পূজায় সূর্যদেবের পাশাপাশি ছটী মাইয়ারও পূজা করা হয়। বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে ছটী মাইয়াকে সন্তানদের রক্ষা ও তাদের দীর্ঘায়ু প্রদানের দেবী হিসেবে মান্য করা হয়। বিহার ও ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় ভাষায় ‘ছটী মাইয়া’ হলেন দেবী ষষ্ঠী, যিনি সন্তানদের সুরক্ষাদাত্রী।
ছট পূজার উৎসব
ছট পূজা একটি চারদিনের লোক উৎসব যা কার্তিক শুক্ল চতুর্থী থেকে শুরু হয়ে কার্তিক শুক্ল সপ্তমীতে শেষ হয়।
নাহায়
আজকের উৎসব গোবর্ধন পূজা: প্রকৃতি ও মানবতার প্রতি শ্রদ্ধার উৎসব

গোবর্ধন পূজা হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। এই উৎসব প্রকৃতি এবং মানবজাতির সাথে সংযোগের প্রতীক। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম দিনে গোবর্ধন পূজা বা অন্নকূট উদযাপিত হয়। গোটা ভারতে এই উৎসব পালন করা হলেও উত্তর ভারতে, বিশেষ করে মথুরা, বৃন্দাবন, নন্দগাঁও, গোকুল এবং বরসানার মতো ভ্রজভূমি এলাকায় এর গুরুত্ব বিশেষভাবে অনুভূত হয়। এই অঞ্চলগুলোর সঙ্গে গোবর্ধন পূজার গভীর সংযোগ রয়েছে কারণ এই স্থানেই শ্রীকৃষ্ণ গোবর্ধন পূজার জন্য গোকুলবাসীদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং দেবরাজ ইন্দ্রের অহংকার দূর করেছিলেন।
গোবর্ধন পূজার তারিখ ও ধর্মগ্রন্থের উল্লেখ
গোবর্ধন পূজা কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম দিনে পালন করা হয় এবং এটি কিছু বিশেষ
আজকের উৎসব প্রদোষ ব্রত (কৃষ্ণপক্ষ): মুক্তি ও সাফল্য লাভের পথ

হিন্দু ধর্মীয় ক্যালেন্ডারের অন্যতম পবিত্র উপবাস হল প্রদোষ ব্রত, যা প্রতি মাসে দু’বার পালন করা হয়। প্রদোষ ব্রত বা প্রদোষম মূলত মহাদেবকে উৎসর্গ করে পালন করা হয় এবং এটি চন্দ্র পক্ষের ১৩তম দিনে পালিত হয়। এই দিনটি পুরোপুরি ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীকে নিবেদিত। প্রদোষ ব্রত হল সাহস, বিজয় ও ভয়মুক্তির প্রতীক।
প্রদোষ ব্রত: মুক্তি ও সাফল্য অর্জনের সাধন
বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে ভগবান শিব অত্যন্ত দয়াশীল হয়ে থাকেন এবং তাঁর ভক্তদের সুখ-সমৃদ্ধি ও আনন্দ প্রদান করেন। যদি কেউ নিবিড় ভক্তি ও আন্তরিকতার সাথে প্রদোষ ব্রত পালন করে, তবে ভগবান শিব তার সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন। তাই