*শ্রীশ্রীঠাকুর ও শ্রীশ্রীমায়ের লীলা*

_একদিন এক বৃদ্ধা দক্ষিণহস্তে যষ্টি ভর করিয়া কাঁপিতে কাঁপিতে আসিলেন, বামহস্তে ছোট একটি পাতার ঠোঙায় কিছু সন্দেশ। বৃদ্ধার প্রাণের আকিঞ্চন — সাধুসেবা। কিন্তু পরমহংস মহাশয়ের কক্ষে গিয়া দেখেন সেখানে বহুভক্তের সমাগম। এমন অবস্থায় বৃদ্ধা কি করিয়া তাঁহার নিকট প্রাণের কথা বলিবেন ?_
_অতঃপর নহবতে আসিয়া বলিলেন, — তুমিই বুঝি মা, পরমহংস মশায়ের পরিবার ?
শ্ৰীরামকৃষ্ণের আশীর্বাদ: জীবনের অন্তিম মুহূর্তে আত্মার স্বরূপ প্রকাশ

শ্ৰীরামকৃষ্ণ হলো এক ধরণের ছাঁচ। মানুষ বানানোর ছাঁচ। তাঁর প্রতি ১% সমর্পণও যদি থাকে জীবনতরী পাই পাই করে ছুটবে, এই বিষয়ে এক ফোঁটাও সন্দেহ নেই। মঠের বর্ষীয়ান সাধুদের মধ্যে ‘ মুমুক্ষানন্দজী’-কে অনেকেই চেনেন। পূজনীয় মহারাজের শরীর তখন খুবই খারাপ, শয্যাশায়ী। একদিন বিকালে তার সেবাককে বলেন, ‘ শোনো হে, তুমি এখন যাও। চা, মুড়ি খেয়ে এসো। তারপরে সন্ধ্যারতি attain করবে। ফিরে এসে আমাকে ডাকবে। যদি সারা না দি, তবে জানবে আমি শরীর রেখেছি। তারপরে বড় মহারাজকে গিয়ে সব বলবে। এখন এসো।’ নিজের জীবনে কতটা কন্ট্রোল থাকলে এমন কথা অবলীলাক্রমে বলা যায়। গীতায় শ্ৰীভগবান বারবার বলছেন, অন্তকালে যোগীর স্মৃতি নষ্ট হয়না।
ঠাকুরের অপূর্ব লীলা

শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
*একদিন ঠাকুরের খুব ইচ্ছা হলো চালকুমড়োর তরকারি খাবেন।
সেদিন তন্নতন্ন করে খুঁজে কোথাও চালকুমড়ো পাওয়া গেল না । অনেক খোঁজাখুজি হল—– অবশেষে এক গৃহস্থের বাড়ির ছাদে ঐ বস্তুটির দর্শন পাওয়া গেল।
গৃহস্থকে তারা অনুনয় করে বললেন “আমরা দক্ষিণেশ্বর থেকে আসছি , আমাদের ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব চালকুমড়ো খেতে চেয়েছেন, কিন্ত বাজারে কোথাও পেলাম না। আপনার বাড়ির ছাদে দেখলাম একটি আছে, যদি দয়া করে ওটি বিক্রী করেন—-
গৃহস্থ বললেন , না না। ওটি আমার গৃহদেবতার জন্য কুটো বেঁধে রাখা আছে , আমি দিতে পারব না।
অগত্যা ওরা ফিরে এলেন এবং ঠাকুরকে সব বলতে না বলতেই বারান্দায় একটি “ধূপ” করে শব্দ হল।
ঘর থেকে