শীতের সাময়িক বিদায়: রাজ্যের আবহাওয়ার নতুন মোড়

ভরা শীতের মরসুমে সাময়িক গরমের আমেজ
রাজ্যে শীতের প্রভাব কিছুটা কমেছে। আজ, শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে উপকূলবর্তী চারটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। ফলে শীতের আমেজ অনেকটাই কমে গিয়েছে। তাপমাত্রাও বেশ কিছুটা বেড়েছে। তবে ৬ ডিসেম্বর থেকে পারদ আবার কমবে। ৯ ডিসেম্বরের পর পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’-এর আগমন
শেষ ছয় ঘণ্টায় শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘ফেনজল’। আজ দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে এটি পুদুচেরি উপকূলে ল্যান্ডফল করবে। ঘূর্ণিঝড়টির গতি ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার হতে পারে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, শ্রীলঙ্কা, অন্ধ্রপ্রদেশ, এবং তামিলনাড়ুর উপকূলে মাছ
নভেম্বরের শেষে কলকাতার তাপমাত্রা বেড়ে গেল, বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণের কিছু জেলায়

কলকাতার তাপমাত্রায় একদিনেই বড়সড় পরিবর্তন। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে ২১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। পারদ স্বাভাবিকের থেকে বেশ খানিকটা ওপরে উঠেছে। আগামী কয়েক দিনে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
নভেম্বরের শেষ দিকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব বাংলায় না পড়লেও এর পরোক্ষ প্রভাবেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার এবং রবিবার সামান্য বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। অন্যদিকে, বাকি জেলাগুলিতে আপাতত শুকনো আবহাওয়া বজায় থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত
‘ডানা’র তাণ্ডব: স্থলভাগে প্রবেশ করছে ঘূর্ণিঝড়, উপকূলে ১২০ কিমি বেগে ঝড়

২৫ অক্টোবর ২০২৪ঃ ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ ইতিমধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়া শুরু করেছে। ‘প্রবল’ শক্তিতেই তার স্থলভাগ অতিক্রমণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব প্রথমবার অনুভূত হয়। ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে এই ঝড়ের সামনের অংশ স্থলভাগে প্রবেশ করছে। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ১০০ থেকে ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছেছে, এবং সর্বোচ্চ গতি ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে বলে অনুমান। সম্পূর্ণ স্থলভাগ অতিক্রম করতে প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশের পর ওড়িশায় ঝড়ের
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র শক্তি বৃদ্ধি, মধ্যরাতে বেগ বাড়তে পারে ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা

২৪ অক্টোবর ২০২৪: ধীরে ধীরে সমুদ্রের ওপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের রাত ১০টার বুলেটিন অনুযায়ী, গত ছ’ঘণ্টায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা থেকে ঘূর্ণিঝড়টি কতটা দূরে রয়েছে, তাও জানানো হয়েছে বুলেটিনে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার মধ্যরাতে ‘দানা’ ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’-এ রূপান্তরিত হতে পারে। সেই সময় সমুদ্রের ওপর ঝোড়ো বাতাসের গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটারে।
আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের সংলগ্ন এলাকায় উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলেছে ‘দানা’। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি সাগরদ্বীপ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছে। ওড়িশার ধামারা থেকে এটি ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এবং
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র জন্য পূর্ব রেলের সতর্কতা: শিয়ালদহ বিভাগে বাতিল ১৬০টি ট্রেন, বন্ধ থাকবে দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল

পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র সম্ভাব্য প্রভাবের জন্য পূর্ব রেল বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ বিভাগে ১৬০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের ডিআরএম দীপক নিগম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাবের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন শাখায় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।
দক্ষিণ শাখার ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত শিয়ালদহ থেকে দক্ষিণ শাখার কোনও ট্রেন ছাড়বে না। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দক্ষিণ শাখার কোনও স্টেশন থেকে শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়ার অনুমতি থাকবে না। এছাড়াও, শিয়ালদহ ও বারাসত থেকে হাসনাবাদ
ঝড়-বৃষ্টির দুর্যোগ এখনই শেষ নয়, ভোগান্তির মুখে কোন কোন জেলা

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে অতিক্রম করছে। কলকাতার নিকটবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে এই নিম্নচাপ, যা আজ রাতেই কলকাতা পেরিয়ে পশ্চিমের জেলাগুলির দিকে অগ্রসর হবে। নিম্নচাপটি পশ্চিমের ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঝাড়খণ্ড ও উত্তর ছত্রিশগড় এলাকায় গিয়ে এটি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
নিম্নচাপের কারণে উত্তাল থাকবে উত্তর বঙ্গোপসাগর। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। রবিবার সকাল পর্যন্ত আবহাওয়া দপ্তর সমুদ্রে মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাগুলিতে ৩০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে