আড্ডার বদলে প্রতিবাদ: কফি হাউসের টেবিলে জ্বলল মোমবাতি, বাজল প্রতিবাদের সুর

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪: কফি হাউসের নাম বাঙালির আড্ডার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রেমের সূচনা হোক বা বিচ্ছেদের কষ্ট, কফি হাউসের টেবিল সব কিছুর সাক্ষী। তবে এবার এক নতুন উপলক্ষে এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটি যুক্ত হলো। আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল কফি হাউস। টেবিলের প্রতিটি কোণায় জ্বালানো হলো মোমবাতি। শুরু হলো প্রতিবাদের গান। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এক হয়ে গেলেন সকলে। কফি হাউস ফের প্রমাণ করে দিল, কলকাতা তার পুরনো চেতনা হারায়নি। এই কফি হাউস এখনও রয়ে গেছে মানুষের শক্তি ও প্রতিবাদের মঞ্চ হিসেবে।
প্রতিবাদী কফি হাউস
যখন সারা দেশজুড়ে আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে মানুষ, ঠিক সেই সময় কফি হাউসও
কফি হাউসের গল্প: টানা ২৬ হাজার দিনের আড্ডা, ‘প্রবীণতম কফিপ্রেমী’ অমর মল্লিকের স্মৃতি রোমন্থন

বয়স ৯২ হলেও প্রাণশক্তিতে ভরপুর, কলকাতার কফি হাউসের অন্যতম পুরোনো মুখ অমর মল্লিক। ছেলে দেবপ্রসাদ, নাতি শাক্য, আর নাতির ছেলে কানহাইয়া—চার প্রজন্ম ধরে চলছে তাঁর পরিবার। কিন্তু অমর মল্লিকের গল্প কেবল পরিবারের নয়, বরং তাঁর দীর্ঘ সময় ধরে কফি হাউসে কাটানো স্মৃতির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে। সম্প্রতি কফি হাউস কর্তৃপক্ষ তাঁকে ‘প্রবীণতম কফিপ্রেমী’ হিসেবে সম্মানিত করেছে।
অমরবাবু গত একাত্তর বছর ধরে কফি হাউসে আসছেন। উত্তর কলকাতার রতু সরকার লেনের ‘মতিলাল শীলের বাড়ি’ থেকে তাঁর যাত্রা এখনও অব্যাহত। যদিও বয়সের ভারে পা এখন একটু ভারী হয়েছে। ‘‘আগে মাত্র দশ মিনিট হাঁটলেই কফি হাউসে পৌঁছে যেতাম। এখন আধ ঘণ্টা লেগে যায়,’’