আজ মাঘ (মউনি) অমাবস্যা: মহত্ত্ব ও সাধনা – মউনি অমাবস্যা পালনের উপায়

আজ মাঘ (মউনি) অমাবস্যা: মহত্ত্ব ও সাধনা – মউনি অমাবস্যা পালনের উপায়

মাঘ অমাবস্যা, বা মউনি অমাবস্যা, হিন্দু ধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি, যা আত্মশুদ্ধি, পুণ্যলাভ এবং পিতৃপুরুষদের শ্রদ্ধা জানানোর একটি বিশেষ দিন। এই দিনে মউনি ব্রত পালন এবং পবিত্র নদীতে স্নান করার মাধ্যমে একদিকে মনোশক্তি বৃদ্ধি হয়, অন্যদিকে সমাজের দরিদ্রদের প্রতি দান করার মাধ্যমে মহত্ত্ব অর্জিত হয়। মাঘ অমাবস্যা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং আত্মবিশ্লেষণ ও আত্ম-সংযমের একটি অনন্য সুযোগ।

আজকের উৎসবঃ মাসিক শিবরাত্রি, মহাদেবের আরাধনার এক পবিত্র রাত

আজকের উৎসবঃ মাসিক শিবরাত্রি, মহাদেবের আরাধনার এক পবিত্র রাত

মাসিক শিবরাত্রি: মানে ও মাহাত্ম্য
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মাসিক শিবরাত্রি। ‘মাসিক’ মানে মাসিক এবং ‘শিবরাত্রি’ মানে শিবের রাত। প্রতি মাসে পালিত হলেও, মহাশিবরাত্রি বছরে একবার হয়। মনে করা হয় যে, মাসিক শিবরাত্রি ব্রত পালন করলে অবিবাহিত নারীরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী লাভ করেন। এই ব্রত রাগ, হিংসা, অহংকার এবং লোভের মতো অশুভ প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।

মাসিক শিবরাত্রির গুরুত্ব
মাসিক শিবরাত্রি শিব ঠাকুরের প্রতি নিবেদিত এক শক্তিশালী এবং শুভ ব্রত। এটি জীবনের উন্নতি এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল কামনায় পালন করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, যদি সারাদিন ও সারারাত “ওম নমঃ শিবায়” মন্ত্র জপ করা যায়

আজ প্রদোষ (কৃষ্ণ) ব্রত: মুক্তি ও সাফল্যের পথে এক পবিত্র ব্রত

আজ প্রদোষ (কৃষ্ণ) ব্রত: মুক্তি ও সাফল্যের পথে এক পবিত্র ব্রত

প্রদোষ ব্রত, যাকে প্রদোষমও বলা হয়, হিন্দু ক্যালেন্ডারের একটি পবিত্র উপবাস যা মাসে দুবার পালন করা হয়। এটি ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতীর প্রতি নিবেদিত। প্রদোষ ব্রত প্রতি পক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালন করা হয় এবং এটি সাহস, বিজয় ও ভয়ের মুক্তির প্রতীক।

প্রদোষ ব্রতের মাহাত্ম্য

প্রদোষ ব্রত পালনের মাধ্যমে ভগবান শিব ভক্তদের সমৃদ্ধি এবং অসীম সুখ দান করেন। পূর্ণ নিষ্ঠা এবং ভক্তি সহ প্রদোষ ব্রত পালন করলে, আপনার ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। এই ব্রত মুক্তি (মোক্ষ) এবং আত্মার পরিত্রাণ লাভের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রদোষ ব্রতের কাহিনী ও তাৎপর্য

প্রদোষ ব্রত আত্মার জাগরণ ঘটায় এবং জীবনে সুখ, শান্তি এবং

আজকের উৎসব গোবর্ধন পূজা: প্রকৃতি ও মানবতার প্রতি শ্রদ্ধার উৎসব

আজকের উৎসব গোবর্ধন পূজা: প্রকৃতি ও মানবতার প্রতি শ্রদ্ধার উৎসব

গোবর্ধন পূজা হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। এই উৎসব প্রকৃতি এবং মানবজাতির সাথে সংযোগের প্রতীক। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম দিনে গোবর্ধন পূজা বা অন্নকূট উদযাপিত হয়। গোটা ভারতে এই উৎসব পালন করা হলেও উত্তর ভারতে, বিশেষ করে মথুরা, বৃন্দাবন, নন্দগাঁও, গোকুল এবং বরসানার মতো ভ্রজভূমি এলাকায় এর গুরুত্ব বিশেষভাবে অনুভূত হয়। এই অঞ্চলগুলোর সঙ্গে গোবর্ধন পূজার গভীর সংযোগ রয়েছে কারণ এই স্থানেই শ্রীকৃষ্ণ গোবর্ধন পূজার জন্য গোকুলবাসীদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং দেবরাজ ইন্দ্রের অহংকার দূর করেছিলেন।

গোবর্ধন পূজার তারিখ ও ধর্মগ্রন্থের উল্লেখ

গোবর্ধন পূজা কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম দিনে পালন করা হয় এবং এটি কিছু বিশেষ

দেবী দুর্গার আগমন এবং গমন কি নির্দেশ করে?

দেবী দুর্গার আগমন এবং গমন কি নির্দেশ করে?

দেবীর আগমন এবং গমন নির্ভরশীল প্রকৃতির উপর বা অন্য ভাবে বলা যায় আগমন বা গমনের উপর প্রকৃতির পরিবর্তন নির্ভর করে।

সিংহ বাহিনী দেবী দুর্গা সাধারণত গজ, ঘোটক, নৌকা এবং দোলা এই চার প্রকার বাহনেই আগমন এবং গমন করেন। দেবীর আগমন এবং গমন নির্ভরশীল প্রকৃতির উপর বা অন্য ভাবে বলা যায় আগমন বা গমনের উপর প্রকৃতির পরিবর্তন নির্ভর করে।

দেবী দুর্গার আগমন বা গমন নির্ভর করে সপ্তমী এবং দশমী তিথি কোন বার তার উপর। যেমন সপ্তমী এবং দশমী তিথি রবিবার এবং সোমবার হলে গজে আগমন বা গমন নির্দেশ করে। সপ্তমী এবং দশমী তিথি মঙ্গলবার এবং শনিবার হলে ঘোটকে বা ঘোড়ায়

আজ রাধা অষ্টমী: ভক্তি ও প্রেমের উৎসব

আজ রাধা অষ্টমী: ভক্তি ও প্রেমের উৎসব

রাধা অষ্টমী, এক গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু উৎসব, জন্মাষ্টমীর কিছুদিন পর পালন করা হয়। জন্মাষ্টমী হল শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উদযাপনের দিন, আর রাধা অষ্টমী উৎসর্গিত হয় শ্রীমতী রাধার প্রতি, যিনি শ্রীকৃষ্ণের উপাসনার অপরিহার্য অংশ হিসাবে বিবেচিত। রাধার উপাসনা শ্রীকৃষ্ণের পূজাকে সম্পূর্ণ করে তুলতে অপরিহার্য বলে মনে করা হয়।

রাধা অষ্টমীর সময়কাল ও উৎসব

জন্মাষ্টমীর ১৫ দিন পর রাধা অষ্টমী পালিত হয়। ২০২৪ সালে, এই উৎসবটি ১১ সেপ্টেম্বর পড়েছে। বিশেষত মথুরা, বৃন্দাবন, বরসানা এবং নন্দগাঁওতে রাধা এবং কৃষ্ণের ঐশ্বরিক উপস্থিতি গভীরভাবে শ্রদ্ধা করা হয় এবং সেসব জায়গায় উৎসবের রঙ আলাদা। এই শুভ দিনটি শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গিনী শ্রীরাধার পবিত্র জন্মতিথি। শ্রীরাধার জন্মস্থান হল মথুরার বারসনা।

মাতৃত্বের প্রতিমূর্তি: শশধর মজুমদারের শ্রীশ্রীমা দর্শনের অভিজ্ঞতা

শশধর মজুমদার দশ বৎসর বয়সে গর্ভধারিনীকে হারাইয়াছিলেন। তিনি অতিশয় মাতৃভক্ত ছিলেন, গর্ভধারিনীর মৃত্যুর পর ত্রিসন্ধ্যা গায়ত্রী জপের সময় তাঁহারই মূর্ত্তি ধ্যান করিতেন। শ্রীশ্রীমাকে প্রথম দর্শনদিবসে সাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম করিয়া যখন তিনি উঠিয়া দাঁড়াইলেন, দেখিলেন, তাঁহার সেই পুণ্যময়ী গর্ভধারিনীই যেন তাঁহাকে বক্ষে টানিয়া লইয়াছেন।স্থানকাল ভুলিয়া তিনি কাঁদিতে লাগিলেন — মা, ওমা, তুমি এতদিন কোথায় ছিলে?

মা বলিলেন, — এই তো বাবা, আমি রয়েছি, তোমার ভয় কি?

পরবর্ত্তী কালে শশধর একদিন শ্রীশ্রীমাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, — আচ্ছা মা, লোকে তোমাকে কত কি বলে, তুমি বলতো কোনটা সত্যি। একটু সময় চুপ থাকিয়া মা বলিলেন, — লোকে যা-ই বলুক-না বাবা, তোমার কি মনে হয়?

শ্রীমাভাষিত…

শ্রীমাভাষিত…

জয়রামবাটীতে কোনও দিন ভক্ত না এলে মা ব্যাকুল হয়ে বলতেন ‘ভক্তেরা কেউ তো এল না।’ এক দিন স্বামী গৌরীশানন্দ শুনলেন মা পায়ের বাতের ব্যথায় কাতর হয়েও ঠাকুরকে লক্ষ্য করে বলছেন:

আজও দিনটা বৃথাই গেল। একজনও তো এল না!

ভক্তি, বিশ্বাস এবং ঈশ্বরলাভ: স্বামী বিবেকানন্দের পথনির্দেশ

ভক্তি, বিশ্বাস এবং ঈশ্বরলাভ: স্বামী বিবেকানন্দের পথনির্দেশ

সাহসী ও অকপট হও—তারপর তুমি যে-পথে ইচ্ছা ভক্তিবিশ্বাসের সহিত চল, অবশ্যই সেই পূর্ণ বস্তুকে লাভ করবে। একবার শিকলের একটা কড়া কোনমতে যদি ধ’রে ফেল, সমগ্র শিকলটা ক্রমে ক্রমে টেনে আনতে পারবে!

error: Content is protected !!