পুজোর আগে ফ্যাশনে প্রতিবাদের ঢেউ: আরজি কর আন্দোলনের সমর্থনে টি-শার্টের জোয়ার!

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪: আরজি কর আন্দোলনের পটভূমিতে কলকাতায় টি-শার্ট ফ্যাশনে বিপ্লব ঘটেছে। ‘আর কবে?’ স্লোগান দিয়ে অরিজিৎ সিংহের গাওয়া গানটি যেমন আন্দোলনের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে, সেই গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তৈরি হয়েছে নানা ধরনের টি-শার্ট। মূলত ‘আরজি কর আন্দোলন’-এর সমর্থনে বাজারে এসেছে এসব টি-শার্ট। প্রতিটি টি-শার্টেই থাকছে প্রতিবাদী স্লোগান, যা আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ফ্যাশনে প্রতিবাদের ছোঁয়া
টি-শার্টের ওপর মুঠো করা হাতের ছবি ও সাদা হরফে লেখা ‘আর কবে?’ স্লোগান যেন নতুন প্রজন্মের প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে। শুধু এই একটি নয়, ‘আমার দুর্গা বিচার চায়’, ‘বিচার চাই’, ‘জাস্টিস ফর তিলোত্তমা’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া
বৃষ্টির মধ্যে প্রতিবাদ: আরজি কর-কাণ্ডের বিরুদ্ধে নার্স ও প্রাক্তন সেনাকর্মীদের মিছিল

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪: অবিরাম বৃষ্টির মধ্যেও প্রতিবাদের রেশ থেমে থাকেনি। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে অঝোর ধারায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত হলো প্রতিবাদ মিছিল। ছাতা মাথায় নিয়ে নার্স, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী এবং শহরের বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীরা এগিয়ে এলেন আরজি কর-কাণ্ডের বিরুদ্ধে। মিছিলের সামনের দিকে থাকা অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে চললেন। উদ্যোক্তাদের দাবি, দুর্যোগের আগেই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে তেমন সাড়া মিলবে না, এমন আশঙ্কা থাকলেও বাস্তবে দেখা যায়, বহু মানুষ ছাতা মাথায় নিয়ে মিছিলে শামিল হয়েছেন।
বিভিন্ন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকেরা, যাঁরা অবসরপ্রাপ্ত মেজর এবং ব্রিগেডিয়ার, তাঁরা আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার দাবি করে
দিনবদলের রবিবার: বিচার চেয়ে তীব্র প্রতিবাদে ফুঁসল রাজ্য

০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪: (৯ অগস্ট ২০২৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪)— এই ৩০ দিনের সময়কাল যেন প্রতীক হয়ে উঠেছে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার জন্য। আর এই ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ ক্রমশ আছড়ে পড়ছে নতুন নতুন রূপে। শুক্রবারের সেই ভয়ানক ঘটনার পর থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ এখন রাজ্যের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে গিয়েছে। চিকিৎসকদের আন্দোলন, রাস্তার আন্দোলন, আর এখন তা সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরজি কর থেকে সারা রাজ্যে
আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের রক্তমাখা দেহ উদ্ধারের পর থেকেই প্রতিবাদের ঢেউ শহরের অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় আন্দোলন। সেই
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রোববার জুড়ে উত্তাল হবে কলকাতা

৮ই সেপ্টেম্বর, রবিবারঃ আজ অর্থাৎ রবিবার কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার এক মাস পূর্ণ হচ্ছে। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন অংশে দিনভর প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কেউ ছবি আঁকবেন, কেউ মিছিলে হাঁটবেন, আবার কেউ নীরবতাকে প্রতিবাদের হাতিয়ার করবেন।
১৪ আগস্টের ঘটনার মতোই, রোববারও ‘রাত দখল’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে এ বার শুধু কলকাতাই নয়, রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও এই কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবারের কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে “শাসকের ঘুম ভাঙাতে নতুন গানের ভোর”। রোববার বিকেল ৫টায় টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করেছেন টলিউডের শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
যাদবপুর
আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে সুইৎজ়ারল্যান্ডে প্রবাসী ভারতীয়দের প্রতিবাদ, সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা, যেখানে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়, তা দেশ ছাড়িয়ে প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী ভারতীয়েরা এ ঘটনার ন্যায্য বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এবার সুইৎজ়ারল্যান্ডের প্রবাসী ভারতীয়রাও পথে নেমে মোমবাতি হাতে নীরব প্রতিবাদ জানালেন। তাঁদের হাতের পোস্টারে লেখা ছিল, ‘বিচার চাই’ এবং ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হন’।
এই প্রতিবাদী জমায়েতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই অংশগ্রহণ করেছেন, এমনকি শিশুসন্তানদেরও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। তাঁদের কথায়, ‘‘আরজি করে যা ঘটেছে তা কেবলমাত্র একটি স্থানের ঘটনা নয়, এটি বাঙালি, ভারতীয় এবং বিশ্ব নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ
আজ (শনিবার) থেকে চার ঘণ্টার টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেবেন জুনিয়র ডাক্তাররা, ঘোষণা আন্দোলনকারীদের

৩১ আগস্ট ২০২৪, কলকাতাঃ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর ২১ দিন অতিক্রান্ত। এই ঘটনার বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে কর্মবিরতি চলছে। এরই মধ্যে, তারা শনিবার অর্থাৎ ৩১ অগস্ট থেকে ‘টেলিমেডিসিন’ পরিষেবা শুরু করার ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার রাতে এই ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডাক্টরস ফ্রন্ট জানিয়েছে, শনিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত এই পরিষেবা উপলব্ধ থাকবে।
টেলিমেডিসিন পরিষেবার তথ্য
এই পরিষেবার জন্য কয়েকটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে:
৮৭৭৭৫৬৫২৫১
৮৭৭৭৫৬৯৩৯৯
৮৭৭৭৫৭৯৫১৭
৬২৯০৩২৬০৭৯
এই নম্বরগুলিতে হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে পরিষেবা পাওয়া যাবে। এছাড়াও, ‘পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডাক্টরস ফ্রন্ট’ আগামী ৪ সেপ্টেম্বর আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে
আটলান্টার রাস্তায় আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ

ভারতের মাটি থেকে হাজার মাইল দূরে, আটলান্টার রাস্তায়ও এবার শোনা যাচ্ছে আরজি কর হাসপাতালের ছাত্রী-খুনের প্রতিবাদের গর্জন। বাংলার হৃদয়কে নাড়া দিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে প্রবাসী বাঙালিরাও। ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে যখন বাংলার শহর-গ্রামে মিছিল চলছে, ঠিক তখনই আটলান্টায় বসবাসকারী বাঙালিরা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশের জন্য পথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য এবং সুমন হালদারের মতো প্রবাসী বাঙালিদের উদ্যোগে আটলান্টার বাঙালি সম্প্রদায় একত্রিত হয়েছে। যদিও এ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি কোনও ক্লাব বা সংগঠনের ব্যানারে নয়, বরং স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আটলান্টার স্থানীয়রাও এই প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন, যা পুরো ঘটনাটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আরজি কর হাসপাতালে