দাবিপূরণ না হলে মঙ্গলবার থেকে সর্বাত্মক চিকিৎসক ধর্মঘট, সিনিয়র-জুনিয়রদের যৌথ হুঁশিয়ারি

সোমবারের মধ্যে সকল দাবি মানা না হলে আবারও ধর্মঘটে নামবেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার, সিনিয়র ডাক্তারদের সাথে বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকরা একযোগে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, “সোমবারের মধ্যে যদি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে না নেন, তবে মঙ্গলবার আমরা পূর্ণাঙ্গ ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।” তিনি আরও জানান, এই ধর্মঘটে সিনিয়র ডাক্তাররাও তাঁদের পাশে থাকবেন। সাংবাদিক বৈঠকে দেবাশিসের সাথে সিনিয়র এবং অন্যান্য জুনিয়র ডাক্তাররাও উপস্থিত ছিলেন।
জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন। আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সংস্কারের দাবিতে গত দুই মাস ধরে চলছে তাঁদের এই আন্দোলন। সরকার এখনো তাঁদের দাবির
স্বাস্থ্য ভবন এলাকায় সিসি ক্যামেরা বৃদ্ধি: জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নার মধ্যেই পুলিশি নজরদারি আরও কড়া

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪: শনিবার সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফরের আগের রাতেই, সেক্টর ফাইভের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার উদ্যোগে, গোটা এলাকায় ১৪টি নতুন সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। শুক্রবার রাতে এই কাজ শেষ হয়। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখন আরও বাড়ানো হবে ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মামলার শুনানির পরেও এই ধর্না কবে উঠবে তা স্পষ্ট নয়। সেই কারণেই জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য ভবনের চারপাশে আরও সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটির কাছে এই বিষয়ে পুলিশের চিঠি পৌঁছেছে। সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবারের
দীর্ঘ বৈঠকের পর মমতা মেনে নিলেন অধিকাংশ দাবি, তবে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় চিকিৎসকেরা

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ঃ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এটিই তাদের পঞ্চম এবং শেষ প্রচেষ্টা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে পাঁচ দফা দাবিতে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠক চলে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। বৈঠক শেষে ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা বাসে করে ফিরে যান সল্টলেকের ধর্নামঞ্চে, যেখানে তাঁরা গত সাত দিন ধরে আন্দোলনে রয়েছেন। আলোচনার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করলে এক চিকিৎসক জানান, ‘‘আলোচনা মোটের উপর ইতিবাচক হয়েছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরানো হচ্ছে।’’
বৈঠকের কিছু পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত করেন, চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী মঙ্গলবারই সিপি
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের আহ্বান

অম্বিকা কুন্ডু, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, কলকাতা: গত দু’দিন এর মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক অসফল হওয়ার পর আরও একবার আজ বিকেল ৫টায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটে তার নিজ বাসভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বান জানিয়ে চিঠি লেখেন। তবে এবারেও মুখ্যসচিব উল্লেখ করেছেন কোনরূপ লাইভ স্ট্রিমিং,ভিডিওগ্রাফি হবেনা।
গত দিন জুনিয়র ডাক্তারেরা লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিওগ্রাফি ছাড়াই রাজি হয়েছিল বৈঠকের জন্য কিন্তু শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী তরফ থেকে জানানো হয় অনেক দেরি হয়ে গেছে এখন আর সম্ভব নয়। এই বলে ডাক্তারদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এইবার জুনিয়র ডাক্তাররা কি করবেন?এই আহ্বান কি তারা সাড়া দেবেন?
‘অভিভাবক’ হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী জুনিয়র ডাক্তাররা

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে ‘উন্মুক্ত আলোচনায়’ আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে তাঁরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত, কিন্তু সেই আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন ‘অভিভাবক’ হিসাবে উপস্থিত থাকেন। তাঁদের মতে, আলোচনা কোথাও হোক না কেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি পরিস্থিতি নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তাররা প্রস্তাব করেন, ‘আমরা সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৩০ জনের একটি দল গঠন করতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে, স্বাস্থ্য ভবন বা নবান্নে, যে কোনও জায়গায় আলোচনায় যেতে রাজি। পুরো বৈঠক গণমাধ্যমের সামনেই হওয়া উচিত।’
এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বৈঠকে ডাকলেও, ডাক্তাররা সেই বৈঠকে অংশ
‘ন্যায় চাই’ স্লোগান ধ্বনিত, অব্যাহত কর্মবিরতি

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪: সারা রাত চলেছে প্রতিবাদ-আন্দোলনের ঢেউ। পরের দিন ভোরে, ক্লান্তির লেশমাত্র না রেখে নতুন উদ্যমে আন্দোলন শুরু হলো।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলন মঞ্চে প্রজেক্টর ও পর্দার আয়োজন ছিল। এক তরুণী চিকিৎসক-ছাত্রীর প্রতীকী ছবিতে মালা দিয়ে বেদীটি সাজানো হয়েছিল, এবং মোমবাতি প্রজ্বলিত করে শ্রদ্ধা নিবেদন চলছিল। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের মাঝে একটা ‘বিশ্বাস’-এর ছাপ স্পষ্ট ছিল। তবে, সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাদের মনোবলে চিড় ধরালো, যা তারা এক মাস ধরে লালন করছিল।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নিলে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।
AIIMS সহ বাংলার ২টি হাসপাতালে শেষ হলো কর্মবিরতি, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত

আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার পর, সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিচারের দাবিতে চিকিৎসকরা টানা আন্দোলন করছেন। প্রথমে আরজি কর হাসপাতালে এবং পরে অন্যান্য হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে সামিল হন। এর ফলে সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগী পরিষেবা বড়ো মাত্রায় ব্যাহত হয়। চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগীকেই ফিরে যেতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টও চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। এই আহ্বানের পরেই কল্যাণী এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। পাশাপাশি, নদিয়ার আরেকটি বড়ো হাসপাতাল, জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরাও কর্মবিরতি শেষে কাজে যোগ দিয়েছেন।
প্রায় ১১ দিন কর্মবিরতির পর, কল্যাণী এইমসের জুনিয়র ডাক্তাররা