আজ মাসিক শিবরাত্রি : মহাদেবের প্রতি ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার এক বিশেষ উৎসব

মাসিক শিবরাত্রি প্রতি মাসে মহাদেব শিবের প্রতি ভক্তি নিবেদনের একটি শুভ দিন। শিবলিঙ্গে পূজা ও ব্রত পালনের মাধ্যমে ভক্তরা আধ্যাত্মিক শান্তি, শারীরিক সুস্থতা এবং জীবনের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পান। মহাশিবরাত্রি বছরে একবার উদযাপিত হয়, যা আধ্যাত্মিক উন্নতির এক বিশেষ সুযোগ।
“মহাকুম্ভ মেলায় বিচিত্র নামে সাধুদের আগমন: ‘অ্যাম্বাসাডর বাবা’ থেকে ‘ছোটু বাবা’ পর্যন্ত”

মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫-এ প্রয়াগরাজে সাধুদের বিচিত্র নামগুলোর সন্ধান করুন, যেমন ‘অ্যাম্বাসাডর বাবা’, ‘পরিবেশ বাবা’, ‘রুদ্রাক্ষ বাবা’, এবং ‘ছোটু বাবা’। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাদের অনন্য জীবনযাত্রা এবং আধ্যাত্মিক পথচলার গল্প জানুন।
আজকের রাশিফল, ২ জানুয়ারি ২০২৫: মেষ, সিংহ, তুলা রাশির জন্য ত্রিপুষ্কর যোগে লাভ, জানুন বছরের প্রথম বৃহস্পতিবারের ভবিষ্যদ্বাণী

আজকের রাশিফল, ২ জানুয়ারি ২০২৫: মেষ, সিংহ, তুলা রাশির জন্য ত্রিপুষ্কর যোগে লাভ, জানুন বছরের প্রথম বৃহস্পতিবারের ভবিষ্যদ্বাণী
আজকের উৎসবঃ মাসিক শিবরাত্রি, মহাদেবের আরাধনার এক পবিত্র রাত

মাসিক শিবরাত্রি: মানে ও মাহাত্ম্য
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মাসিক শিবরাত্রি। ‘মাসিক’ মানে মাসিক এবং ‘শিবরাত্রি’ মানে শিবের রাত। প্রতি মাসে পালিত হলেও, মহাশিবরাত্রি বছরে একবার হয়। মনে করা হয় যে, মাসিক শিবরাত্রি ব্রত পালন করলে অবিবাহিত নারীরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী লাভ করেন। এই ব্রত রাগ, হিংসা, অহংকার এবং লোভের মতো অশুভ প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
মাসিক শিবরাত্রির গুরুত্ব
মাসিক শিবরাত্রি শিব ঠাকুরের প্রতি নিবেদিত এক শক্তিশালী এবং শুভ ব্রত। এটি জীবনের উন্নতি এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল কামনায় পালন করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, যদি সারাদিন ও সারারাত “ওম নমঃ শিবায়” মন্ত্র জপ করা যায়
দেবী দুর্গার আগমন এবং গমন কি নির্দেশ করে?

দেবীর আগমন এবং গমন নির্ভরশীল প্রকৃতির উপর বা অন্য ভাবে বলা যায় আগমন বা গমনের উপর প্রকৃতির পরিবর্তন নির্ভর করে।
সিংহ বাহিনী দেবী দুর্গা সাধারণত গজ, ঘোটক, নৌকা এবং দোলা এই চার প্রকার বাহনেই আগমন এবং গমন করেন। দেবীর আগমন এবং গমন নির্ভরশীল প্রকৃতির উপর বা অন্য ভাবে বলা যায় আগমন বা গমনের উপর প্রকৃতির পরিবর্তন নির্ভর করে।
দেবী দুর্গার আগমন বা গমন নির্ভর করে সপ্তমী এবং দশমী তিথি কোন বার তার উপর। যেমন সপ্তমী এবং দশমী তিথি রবিবার এবং সোমবার হলে গজে আগমন বা গমন নির্দেশ করে। সপ্তমী এবং দশমী তিথি মঙ্গলবার এবং শনিবার হলে ঘোটকে বা ঘোড়ায়
ঠাকুরের অপূর্ব লীলা

শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
*একদিন ঠাকুরের খুব ইচ্ছা হলো চালকুমড়োর তরকারি খাবেন।
সেদিন তন্নতন্ন করে খুঁজে কোথাও চালকুমড়ো পাওয়া গেল না । অনেক খোঁজাখুজি হল—– অবশেষে এক গৃহস্থের বাড়ির ছাদে ঐ বস্তুটির দর্শন পাওয়া গেল।
গৃহস্থকে তারা অনুনয় করে বললেন “আমরা দক্ষিণেশ্বর থেকে আসছি , আমাদের ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব চালকুমড়ো খেতে চেয়েছেন, কিন্ত বাজারে কোথাও পেলাম না। আপনার বাড়ির ছাদে দেখলাম একটি আছে, যদি দয়া করে ওটি বিক্রী করেন—-
গৃহস্থ বললেন , না না। ওটি আমার গৃহদেবতার জন্য কুটো বেঁধে রাখা আছে , আমি দিতে পারব না।
অগত্যা ওরা ফিরে এলেন এবং ঠাকুরকে সব বলতে না বলতেই বারান্দায় একটি “ধূপ” করে শব্দ হল।
ঘর থেকে
আজকের উৎসব মাসিক শিবরাত্রি: হিন্দু ক্যালেন্ডারের অনুসারে পালিত একটি পবিত্র রাত্রি

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতিটি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে (১৪তম দিন) মাসিক শিবরাত্রি উদযাপিত হয়। ‘মাসিক’ অর্থ মাসিক এবং ‘শিবরাত্রি’ অর্থ মহাদেবের রাত্রি। মাসিক শিবরাত্রি মাসে একবার পালিত হয়, আর মহাশিবরাত্রি বছরে একবার পালিত হয়। এই দিনটি ব্রহ্মচারী নারীদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এই উপবাস তাদের কাঙ্ক্ষিত সঙ্গী লাভে সহায়তা করে। এই উপবাস শুধুমাত্র ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না, এটি ক্রোধ, ঈর্ষা, অহংকার এবং লোভের মতো অমঙ্গলের অনুভূতিকে দমন করতেও সহায়ক।
মাসিক শিবরাত্রির তাৎপর্য
মাসিক শিবরাত্রি মহাদেবকে নিবেদিত একটি শক্তিশালী ও শুভ উপবাস হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি পুরুষ ও মহিলারা তাদের জীবনে উন্নতি ও ভবিষ্যতের কল্যাণের জন্য পালন করেন। বিশ্বাস করা
ভক্তি, বিশ্বাস এবং ঈশ্বরলাভ: স্বামী বিবেকানন্দের পথনির্দেশ

সাহসী ও অকপট হও—তারপর তুমি যে-পথে ইচ্ছা ভক্তিবিশ্বাসের সহিত চল, অবশ্যই সেই পূর্ণ বস্তুকে লাভ করবে। একবার শিকলের একটা কড়া কোনমতে যদি ধ’রে ফেল, সমগ্র শিকলটা ক্রমে ক্রমে টেনে আনতে পারবে!