বাংলার দাদার চরিত্রে এবার পর্দায় আসছেন বলিউডের ‘জামাই’! সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনীচিত্রে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত রাজকুমার রাও। তবে একইসঙ্গে ভিতর থেকে একটা ভয়ও তাঁকে কুরে কুরে খাচ্ছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “এত বড় মাপের এক ব্যক্তিত্বের চরিত্রে ভাবা হয়েছে আমাকে—এটাই বিশাল সম্মানের। কিন্তু সেই সঙ্গে ভয়ও পাচ্ছি, কারণ দাদার মতো এক কিংবদন্তিকে ফুটিয়ে তোলা কোনও সহজ কাজ নয়।”
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছিলেন, রাজকুমার রাওয়ের প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে। দাদা বলেছিলেন, “রাজকুমার একেবারে টপ লেভেলের অভিনেতা। আমার চরিত্রে ওঁকে মানাবে বলেই মনে হয়। আমি নিজে ওঁকে পুরোপুরি সহযোগিতা করব।”
এই আশ্বাসে সাহস পেয়েই রাজকুমার মুখ খুলেছেন। এখন তিনি পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাংলা উচ্চারণ শেখা থেকে শুরু করে ক্রিকেট খেলার আদবকায়দা—সবই শিখছেন নতুন করে। তিনি জানান, “আমার বাংলা উচ্চারণ নিখুঁত নয়, তাই স্ত্রী পত্রলেখার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করছি।”
শুধু তো অভিনয় নয়, ক্রিকেট সম্পর্কিত টেকনিক, ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—সবই রপ্ত করতে হবে যাতে বাস্তব ক্রিকেটার সৌরভের সঙ্গে পর্দার সৌরভের ফারাক না থাকে।
রাজকুমার বলেন, “দাদা আমাকে অনেক বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। চেষ্টা করব যাতে তাঁকে নিরাশ না করি। যদিও এটা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং, তবুও বুঝতে পারছি এই কাজটা আমি বেশ উপভোগ করব।”
সৌরভ আগেই উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন, “ধোনির বায়োপিকের সময় সুশান্ত সিং রাজপুত ধোনির মতো আদল আনতে পারেননি, তবুও অভিনয়ের জোরেই ছবি হিট হয়েছিল। এখানেও অভিনয়টাই মূল বিষয়।”
রাজকুমার ও সৌরভ—উভয়েই জানিয়েছেন, সিনেমা তৈরি সময়সাপেক্ষ। আগামী বছরের গোড়ায় শুটিং শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, আর মুক্তি পেতে পারে বছর শেষের দিকে।
তাই এখন থেকেই রাজকুমার রাওয়ের ওপর চোখ রাখছেন বলিউড ও ক্রিকেটপ্রেমীরা—দেখার অপেক্ষা, ‘দাদা’র চরিত্রে কতটা সফল হয়ে উঠতে পারেন তিনি।