সীমান্ত পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। “অপারেশন সিঁদুর” সফল হলেও তার পাল্টা চাপে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে লাগাতার গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন প্রেক্ষাপটে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নবান্ন থেকে জারি হল কড়া বিজ্ঞপ্তি—৭ মে ২০২৫ থেকে সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল। একমাত্র মেডিক্যাল লিভ ছাড়া আর কোনও ছুটি গ্রহণযোগ্য নয়, জানানো হয়েছে স্পষ্টভাবে।
নিজের এলাকা ছাড়াও নিষিদ্ধ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাঁর পোস্টিং যেখানে রয়েছে, তাঁকে আপাতত সেখানেই থাকতে হবে। কোনও সরকারি কর্মী নিজের জেলাও ছাড়তে পারবেন না। কারণ, জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত ডিউটিতে ডাকা হতে পারে—এমন বার্তাই দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
সীমান্ত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক
এই পরিস্থিতিতে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠক করেন সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। সেই বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আতঙ্কের কিছু নেই। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দেশের স্বার্থে একসঙ্গে লড়াই করব।”
স্কুলের ছুটিতেও নির্দেশ
সরকারি স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি আগেই ঘোষণা হয়েছে। তবে বেসরকারি স্কুলগুলিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছেন, রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন থেকেই যেন তারা ছুটি ঘোষণা করে। তাঁর বক্তব্য, “বাচ্চারা যদি বাড়িতে থাকে, তাহলে তাদের জন্য নিরাপদ হবে। বাড়ি থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাক।”
মানবিকতা ও নিরাপত্তা—দু’দিকই গুরুত্ব পাচ্ছে
চলমান পরিস্থিতি স্পষ্টতই সংকটজনক, তবে প্রশাসন চেষ্টা করছে যাতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় খুব একটা প্রভাব না পড়ে। সরকারি কর্মীদেরও অনুরোধ জানানো হয়েছে—সচেতন থাকুন, সতর্ক থাকুন, কিন্তু আতঙ্কিত হবেন না।