সইফ আলি খান ও করিনা কাপূরের সন্তান, ছোট্ট জেহ-কে অপহরণ করে ১ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে এক বাংলাদেশি হামলাকারী সইফের বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য, যা এই ঘটনার পেছনের আসল উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করেছে। এই নিবন্ধে জানবেন কীভাবে সইফ আলি খান ও তার পরিবারের উপর হামলা এবং জেহ-কে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছিল, এবং এর পরবর্তী ঘটনাবলী।
হামলাকারীর মূল লক্ষ্য: জেহকে অপহরণ করা
হামলার সময়, সইফ আলি খান ও করিনা কাপূরের ছোট ছেলে জেহ-কে পণবন্দি করার উদ্দেশ্যে সইফের বাসায় প্রবেশ করেছিলেন হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদ। তদন্তে জানা যায়, জেহকে অপহরণ করে ১ কোটি টাকা আদায় করাই ছিল তার আসল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার আগে সে একটি বড় অঙ্কের টাকা চাইছিল।
ঘটনার পুননির্মাণ: সইফ ও পরিবারের সাহসিকতা
হামলার সময়ে, সইফের বাসায় কর্মরত নার্স এলিয়ামা ফিলিপ প্রথম হামলাকারীকে দেখতে পান। শেহজাদ ১ কোটি টাকা দাবি করে এলিয়ামাকে আক্রমণ করে, পরে জেহের ঘরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এলিয়ামা তাঁর চিৎকারে আয়া ও জুনুদের সাহায্যের জন্য ডাকেন। এই হট্টগোলে জেহ কাঁদতে কাঁদতে পালিয়ে যান। সইফ আলি খান, তখনই হামলাকারীকে বাধা দেন এবং নিজে আহত হন।
অস্ত্রোপচারের পর সইফের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি
হামলার পর সইফ আলি খানকে তৎকালীন সময়ের অটোতে করে লীলাবতি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর ৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়। যদিও ২১ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে হাসপাতাল ছাড়ার কথা ছিল, কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে এখনও পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
হামলাকারীর পরিচয়: বাংলাদেশি নাগরিক
হামলাকারী শেহজাদ প্রথমে নিজেকে কলকাতার নাগরিক বলে দাবি করেছিল, তবে তদন্তে জানা যায়, সে আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। শেহজাদকে গ্রেফতার করার পর, পুলিশ তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে।
সইফ আলি খান ও তার পরিবার এই ভয়াবহ ঘটনার শিকার হলেও, তাঁদের সাহসিকতা এবং প্রজ্ঞা এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়েছে। হামলাকারী এখনও পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে, বিশেষত সেলিব্রেটিদের নিরাপত্তা সম্পর্কে।