দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে বাকি !!

Days
Hours
Minutes
Seconds

Russia-Ukraine War: রাশিয়ার সঙ্গে তেল কেনাবেচা করলে ভারতের উপর ১০০% নিষেধাজ্ঞা, NATO-র হুঁশিয়ারি

Russia-Ukraine War: রাশিয়ার সঙ্গে তেল কেনাবেচা করলে ভারতের উপর ১০০% নিষেধাজ্ঞা, NATO-র হুঁশিয়ারি

বিশেষ প্রতিবেদন | নয়াদিল্লি |
Russia-Ukraine যুদ্ধের অভিঘাত ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। এবার সেই যুদ্ধ ঘিরেই ভারত, চিন ও ব্রাজিলের উপর চাপ বাড়াল NATO। সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রিটা সরাসরি জানিয়েছেন— “রাশিয়ার থেকে তেল ও গ্যাস কিনলে ভারতের উপরও ১০০ শতাংশ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে।”

এই হুঁশিয়ারি একেবারে হালকা ভাবে নিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মহল। কারণ, এর আগেই আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। এমনকি ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হলে রাশিয়ার সহযোগী দেশগুলির উপর চড়া শুল্ক চাপানোর কথাও স্পষ্ট করেছেন ট্রাম্প।

ভারতের উদ্বেগ কেন?
রাশিয়ার সর্ববৃহৎ তেল আমদানিকারক দেশগুলির তালিকায় ভারত, চিন ও তুরস্ক রয়েছে শীর্ষে। এমন অবস্থায় NATO ও আমেরিকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিতে পারে।

মার্ক রিটা বলেন—

“ভারত, চিন, ব্রাজিল— এই দেশগুলিকে অনুরোধ করব, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করুন। পুতিনকে বলুন, শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসুন। না হলে আপনাদের উপরই নিষেধাজ্ঞা আসবে।”

⚠️ কি ধরনের নিষেধাজ্ঞা?

  • ১০০% অর্থনৈতিক শুল্ক
  • আন্তর্জাতিক লেনদেনে বাধা
  • তেল ও গ্যাস আমদানিতে অতিরিক্ত কর
  • আমেরিকার বাজারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি:
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন—

“যে সব দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে পণ্য আমদানি করছে, তারা যেন সতর্ক হয়। যুদ্ধ থামাতে না পারলে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে তাদের উপর শুল্ক চাপানো হবে। প্রয়োজনে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হবে।”

রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কী?
রাশিয়ার উপ বিদেশমন্ত্রী সেরগেই রায়াবকভ জানিয়েছেন, মস্কো আলোচনায় বসতে রাজি। তবে হুমকি বা শর্তে কাজ হবে না।

আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব:

  • তেলের দাম বাড়বে
  • আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চাপে পড়বে
  • ভারতের আমদানিকৃত জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাবে
  • মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা


এই মুহূর্তে ভারতকে কূটনৈতিকভাবে অনেক সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। একদিকে আমেরিকা ও NATO-র চরম চাপ, অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক ও জ্বালানি নির্ভরতা। ভবিষ্যৎ ঠিক করবে, ভারত কোন দিক বেছে নেয়—অর্থনৈতিক স্বার্থ না কূটনৈতিক সমঝোতা।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
আরও পড়ুন
error: Content is protected !!