দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে বাকি !!

Days
Hours
Minutes
Seconds

রুক্মিণী মৈত্র: বলিউডের কাজ ছেড়ে কেন বেছে নিলেন ‘বিনোদিনী’?

রুক্মিণী মৈত্র: বলিউডের কাজ ছেড়ে কেন বেছে নিলেন ‘বিনোদিনী’?

টলিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন তাঁর সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য। বলিউডে কাজের অফার থাকা সত্ত্বেও তিনি বেছে নিয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্র ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’। এই সিদ্ধান্তের পেছনে তাঁর অনুপ্রেরণা এবং সংগ্রামের গল্পই তাঁকে সকলের প্রিয় করে তুলেছে।

কেন এই সিদ্ধান্ত?

রুক্মিণী মৈত্রের কাছে বিনোদিনী দাসীর জীবন কেবল একটি চরিত্র নয়, বরং এটি একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। তিনি জানান, বিনোদিনীর সংগ্রাম, সাহস এবং সংস্কৃতির প্রতি তাঁর অবদানের গল্পটি যথার্থভাবে তুলে ধরতে চান। রুক্মিণী বলেন,

“বিনোদিনী দাসী একজন প্রতীক। তাঁর মতো চরিত্রে অভিনয় করা আমার কাছে দায়িত্ব এবং গর্বের বিষয়।”

‘বিনোদিনী’ চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি

বিনোদিনীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রুক্মিণীকে পেরোতে হয়েছে অনেক শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জ। নাচ, সংগীত এবং ঐতিহাসিক প্রসঙ্গের গবেষণায় তিনি নিজেকে নিখুঁতভাবে তৈরি করেছেন। বিনোদিনীর সংগ্রাম এবং যাত্রা ফুটিয়ে তুলতে তাঁকে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে।

বলিউড কেন নয়?

বলিউড থেকে অফার থাকা সত্ত্বেও বাংলা চলচ্চিত্রকে বেছে নেওয়ার পেছনে রুক্মিণীর ভাষায়,

“আমি চাই বাংলার গল্প এবং তার ইতিহাস বিশ্বের সামনে আসুক। আর ‘বিনোদিনী’ আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছে।”
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির চেয়েও স্থানীয় সংস্কৃতি এবং গৌরব তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’-এর গল্প

চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে বিনোদিনী দাসীর জীবন নিয়ে, যিনি ১৯ শতকের বাংলায় থিয়েটারের প্রথম সারির অভিনেত্রী ছিলেন। তাঁর সংগ্রামের গল্প শুধু নারীদের নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরকে অনুপ্রাণিত করে। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, যেখানে বিনোদিনীর জীবনের বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

টলিউডের প্রশংসা ও সমর্থন

রুক্মিণীর এই সাহসী পদক্ষেপ এবং অভিনয় দক্ষতা ইতোমধ্যেই সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে। টলিউডে তাঁর সহকর্মীরাও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন এবং ‘বিনোদিনী’ চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁদের উচ্চ প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।

রুক্মিণীর জন্য ভবিষ্যৎ কী?

রুক্মিণী মৈত্র প্রমাণ করেছেন যে, পেশাদারিত্ব এবং সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা একজন শিল্পীর আসল পরিচয়। বিনোদিনীর মতো চরিত্রে অভিনয় তাঁর ক্যারিয়ারের মাইলফলক হয়ে থাকবে। একই সঙ্গে এটি বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর পথ দেখাবে।

রুক্মিণী মৈত্রের এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র তাঁর পেশাদারিত্ব নয়, বরং বাংলার সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের প্রতি তাঁর ভালোবাসার পরিচায়ক। বিনোদিনীর মতো একটি ঐতিহাসিক চরিত্রে তাঁর অভিনয় বাংলা চলচ্চিত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে। রুক্মিণীর মতো প্রতিভাবান অভিনেত্রী আমাদের দেখিয়ে দেন, যখন ইচ্ছাশক্তি এবং দায়িত্ববোধ একসঙ্গে কাজ করে, তখন সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।

কোথায় দেখবেন ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’?

কোলকাতা শহরের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাগৃহ ষ্টার থিয়েটার এর নাম, রুক্মিণী অভিনীত “বিনোদিনী” মুক্তি পাবে বলেই ঐতিহাসিক চরিত্র বিনোদিনীর নামে করা হলো বিনোদিনী হল। প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন বিনোদন ও রাজনৈতিক মহলের তারকারা।

মিডিয়ার ভিড়ে পরিচালক আর কলাকুশলীদের সেই নয়সী বক্তব্য যা সামাজিক মাধ্যমে রিলস এ দেখা যাবে কিন্তু দেখা যাবে না মহানায়ক দেব প্রেয়সী রুক্মিণী অভিনীত “বিনোদিনী -একটি নটীর উপাখ্যান” তাই দেরী না করে চলে যান বিনোদিনী হলে।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
আরও পড়ুন
error: Content is protected !!