নতুন মরসুমে মোহনবাগান জনতার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রবসন রবিনহো। অবশেষে তিনি কলকাতায় এসে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে প্রথম দিনেই অনুশীলনে নেমে পড়লেন। প্রথম অনুশীলনেই তাঁর ছন্দ এবং কৌশল নজর কেড়েছে সমর্থকদের।

ইস্টবেঙ্গলের হাত থেকে মোহনবাগানে
ইস্টবেঙ্গলও একসময় রবিনহোকে দলে নিতে আগ্রহী ছিল। কিন্তু অস্কার ব্রুজো-র হাত থেকে ফসকে শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানই দলে টেনে নেয় তাঁকে। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসে সাফল্যের পর এবার এপার বাংলার মাঠেও নিজের জাদু ছড়াতে তৈরি এই ব্রাজিলিয়ান অ্যাটাকার।
বাংলায় কথা, কলকাতা জয়ের স্বপ্ন
কলকাতায় পা রেখেই সমর্থকদের চমকে দিলেন রবিনহো। তিনি জানান, বাংলা ভাষা তিনি বেশ ভালোই বোঝেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলায় কথা বলার মুহূর্তে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস তুঙ্গে ওঠে। রবিনহো আত্মবিশ্বাসী সুরে বলেন, “আমি মোহনবাগানকে বাছিনি, মোহনবাগান আমাকে পছন্দ করেছে।”
লক্ষ্য এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২
প্রথম লক্ষ্য পরিষ্কার—এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২। এই টুর্নামেন্ট দিয়েই সমর্থকদের মন জয় করতে চান তিনি। রবিনহোর পছন্দ এখন বাংলাদেশের বিরিয়ানি, তবে তিনি আশাবাদী যে কলকাতার বিরিয়ানিও তাঁকে মুগ্ধ করবে।
ব্যারেটো অনুপ্রেরণা
মোহনবাগানের কিংবদন্তি জোসে ব্যারেটো-র নাম শুনেছেন রবিনহো। সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়ে ব্যারেটো যেভাবে কিংবদন্তি হয়ে উঠেছিলেন, সেই একই ভালোবাসা অর্জন করতে চান তিনিও। রবিনহোর কথায়, “ব্যারেটোই এখন আমার অনুপ্রেরণা।”
নেইমারের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা
ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার-এর বিরুদ্ধে খেলার স্মৃতিও শেয়ার করলেন রবিনহো। নেইমারকে মানুষ হিসেবে অত্যন্ত ভালো বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে খেলা জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা বলে জানান রবিনহো।
ডার্বির উত্তেজনা সামনে
ডুরান্ড ডার্বির উত্তাপ তিনি এখনও মাঠে থেকে অনুভব করেননি, তবে তার তীব্রতা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই শুনেছেন। আপাতত সব মনোযোগ এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২-এর দিকে। তাঁর লক্ষ্য স্পষ্ট—ব্যারেটো ও সোনির মতো তিনিও মোহনবাগান সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে উঠতে চান।