কলকাতা, ২৩ আগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি তরুণী ট্রেনি চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের প্রতিবাদ এখনও চলমান। আজ সিবিআই দফতরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, খুনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার না করা হলে কর্মবিরতি চলতেই থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের আর্জি প্রত্যাখ্যান, কর্মবিরতি চলবে:
সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আর্জি জানানো হলেও, তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে জেনারেল বডি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চলবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লির এইমস-সহ দেশের অন্যান্য জায়গায় চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও, বাংলার ডাক্তাররা এখনও তাঁদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিবিআই দফতরে তদন্তের অগ্রগতি জানার দাবি:
আজ আন্দোলনরত চিকিৎসকরা সিবিআই দফতরে গিয়ে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইবেন। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করলে তবেই কর্মবিরতি উঠবে। সিবিআইয়ের তদন্তের উপরেই নির্ভর করছে পরবর্তী পদক্ষেপ।
হুমকির অভিযোগ, প্রধান বিচারপতির অভয়:
এর আগে গতকাল সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে চিকিৎসকদের আইনজীবী অভিযোগ করেন যে, আরজি কর হাসপাতালের তরফ থেকে এখনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি এই অভিযোগ শুনে জানান, হুমকি প্রদানকারীদের বিষয়ে জানতে চান তিনি। সেই সঙ্গে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
হাসপাতালে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা মোতায়েন:
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে। হাসপাতালের ২৬টি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিআইএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে আরজি কর মেডিক্যালে ভাঙচুরের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই ঘটনার পর থেকে নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে সরব হন চিকিৎসকরা। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হলেও কর্মবিরতি তাতে উঠছে না।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের তদন্তের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই তাঁরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁদের একমাত্র দাবি, খুনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হোক। এর আগে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে রাজি নন।