পৌষ পূর্ণিমা কী?
পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি, যেটি হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, তা “পৌষ পূর্ণিমা” নামে পরিচিত। এই দিন চন্দ্র সম্পূর্ণভাবে দৃশ্যমান হয়, যা হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত। পৌরাণিক শাস্ত্র মতে, এই দিনে পবিত্র স্নান, দান এবং সূর্য দেবতাকে জল অর্পণ করা অত্যন্ত শুভ ফল প্রদান করে। বিশেষত, কাশী, প্রয়াগরাজ এবং হরিদ্বারের গঙ্গায় স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
পৌষ পূর্ণিমার তাৎপর্য
বৈদিক জ্যোতিষ ও হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, পৌষ মাস সূর্য দেবতার মাস। এই মাসে সূর্যের আরাধনা করলে মুক্তি লাভ করা যায়। পৌষ পূর্ণিমার দিন সূর্য ও চন্দ্রের মেলবন্ধন এক বিশেষ মহাজাগতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, যা অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই দিনে সূর্য এবং চন্দ্র উভয়ের উপাসনা করলে ইচ্ছাপূরণ ও আশীর্বাদ লাভ হয়।
পৌষ পূর্ণিমার ব্রত ও পূজার বিধি
পৌষ পূর্ণিমার দিন উপবাস, পবিত্র স্নান, দান ও জপের মাধ্যমে ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন করা হয়। এই দিনে সূর্য দেবের আরাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ব্রত এবং পূজার নিয়মাবলী নিম্নরূপ:
- উপবাস করার সংকল্প নিন এবং পবিত্র স্নানের প্রস্তুতি করুন।
- স্নানের আগে বরুণ দেবকে প্রণাম করুন।
- সূর্য দেবতাকে পবিত্র জল অর্পণ করুন এবং মন্ত্র জপ করুন।
- এরপর শ্রীমধুসূদন ভগবানের পূজা করুন এবং তাঁকে ভোগ নিবেদন করুন।
- ব্রাহ্মণ বা দরিদ্রদের দান করুন।
- লাড্ডু, গুড়, উল বস্ত্র এবং কম্বল দানের জন্য বিশেষ উপযুক্ত।
পৌষ পূর্ণিমার বিশেষ আয়োজন
পৌষ পূর্ণিমার দিনে বিভিন্ন তীর্থ ও পবিত্র স্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রয়াগরাজে মাঘ মেলার সূচনা হয় এই দিন। পবিত্র স্নান এই দিনে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।