📌 সপ্তমী তিথি শুরু: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ২টা ২৮ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে
📌 সপ্তমী তিথি শেষ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে
নবপত্রিকা পূজা কী?
দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীর সকাল শুরু হয় নবপত্রিকা পূজার মাধ্যমে, যা বাংলায় স্নেহভরে বলা হয় কলাবৌ পূজা। এই দিনে ভোরে গঙ্গা বা কাছাকাছি কোনও জলে কলাবৌকে স্নান করিয়ে মণ্ডপে আনা হয় এবং দুর্গামায়ের পাশে আসীন করা হয়।
নবপত্রিকা মূলত নয় প্রকার গাছের পাতা দিয়ে সাজানো হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই নয়টি পাতা দেবীর নয় রূপের প্রতীক—
- কলা (Banana)
- হলুদ (Turmeric)
- ডালিম (Pomegranate)
- অশোক (Ashoka)
- ধান (Paddy)
- বিল্ব (Bilva)
- জয়ন্তী বা যব (Barley)
- কচু (Arum)
- মান (Manaka)
এই নয়টি পত্রিকা একসঙ্গে বেঁধে ‘কলাবৌ’ রূপে পূজিত হন। সাধারণভাবে কলাবৌকে গণেশের পত্নী রূপেও ধরা হয়।
নবপত্রিকা পূজার মাহাত্ম্য
👉 নবপত্রিকা পূজা প্রকৃতির পূজা—ফসল, শস্য ও সবুজের প্রতীক।
👉 এতে ধরা পড়ে বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতি ও কৃষি ঐতিহ্য।
👉 দেবী দুর্গার সঙ্গে প্রকৃতির শক্তিকে মিলিয়ে পূজা করা হয়।
২০২৫ সালে নবপত্রিকা পূজা কবে?
২০২৫ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার মহাসপ্তমীর ভোরে শুভ মুহূর্তে নবপত্রিকা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যদিও সপ্তমী তিথি শুরু হচ্ছে ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে, তবুও পূজার নিয়মানুযায়ী নবপত্রিকা স্নান ও পূজা সকাল বেলাতেই সম্পন্ন করা হয়।
শেষকথা
নবপত্রিকা পূজা শুধুই এক আচার নয়, এটি বাংলার কৃষিজীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা প্রকৃতি পূজার ঐতিহ্য। দুর্গাপূজার আনন্দের প্রথম দিন মহাসপ্তমী শুরু হয় এই নবপত্রিকা স্নান ও আরাধনার মাধ্যমে। তাই ভোরবেলা গঙ্গার ঘাটে কলাবৌ স্নান করানো থেকে শুরু করে প্রতিটি মণ্ডপে নবপত্রিকা পূজা বাংলার উৎসবকে করে তোলে আরও সমৃদ্ধ ও আধ্যাত্মিক। 🌸