ভারতে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা, যা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ বছর এই ঐতিহ্যবাহী মেলা প্রয়াগরাজে আয়োজন করা হয়েছে, এবং সেখানকার সাজ-সজ্জাও নতুন করে প্রস্তুত করা হয়েছে। মহাকুম্ভে লক্ষ লক্ষ ভক্তের আগমন ঘটবে, এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।

এ বছরের মহাকুম্ভে ১২ বছর পর এক বড় জমায়েত হচ্ছে, যেখানে গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে পুণ্যস্নান করতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। মেলা উপলক্ষে প্রয়াগরাজে বিভিন্ন আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হবে। তবে, এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ হলো সেখানে আসা বিচিত্র নামে সাধুদের উপস্থিতি।

মহাকুম্ভ মেলায় অংশগ্রহণকারী সাধুদের মধ্যে বেশ কিছু অদ্ভুত নাম রয়েছে। যেমন, ‘অ্যাম্বাসাডর বাবা’, ‘পরিবেশ বাবা’, ‘রুদ্রাক্ষ বাবা’, ‘রাবড়ি বাবা’, এবং ‘ছোটু বাবা’ প্রভৃতি। এই নামগুলো তাদের বিশেষ কর্মকাণ্ড বা জীবনধারার উপর ভিত্তি করে রাখা হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, ‘অ্যাম্বাসাডর বাবা’ নামে পরিচিত এক সাধু ৫০ বছর ধরে একটি পুরোনো অ্যাম্বাসাডর গাড়িতে ভ্রমণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালের একটি গাড়ির প্রেমে পড়ে এবং আজও তা তার সঙ্গী। এছাড়া, ‘পরিবেশ বাবা’ নামক সাধু গাছ রোপণকে একটি ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং তার ভক্তরা তাকে এই নাম দিয়েছেন।

এছাড়া, ‘রুদ্রাক্ষ বাবা’ নামে পরিচিত সাধু দিগম্বর অজয় গিরি, যিনি ১১ হাজার রুদ্রাক্ষ ধারন করে আধ্যাত্মিক সাধনা করছেন, এবং ‘রাবড়ি বাবা’ নামে পরিচিত সাধু, যিনি ভক্তদের রাবড়ি খেতে দেন, বিশেষভাবে পরিচিত।


এবারের মহাকুম্ভ মেলায় ভক্তদের কাছে ‘ছোটু বাবা’ বা গঙ্গাপুরী মহারাজও বিশেষ আকর্ষণ। তার উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৮ ইঞ্চি, কিন্তু তার আধ্যাত্মিক শক্তি এবং কর্মকাণ্ড তাকে এক অনন্য অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।

এভাবে, মহাকুম্ভ মেলা হয়ে উঠেছে সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্য এক অভিনব মঞ্চ, যেখানে তাদের বিচিত্র নাম এবং জীবনধারা ভক্তদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করছে।