মাঘ পূর্ণিমা ২০২৫
🔹 শুভারম্ভ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সন্ধ্যা ৬:৫৮
🔹 সমাপ্তি: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সন্ধ্যা ৭:২৬
মাঘ পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মে এক বিশেষ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই পূর্ণিমা তিথিতে স্নান, দান এবং জপ-কীর্তন করলে জীবনে শুভ ফল লাভ হয়। এটি পৌষ পূর্ণিমা থেকে শুরু হয়ে মাঘ পূর্ণিমায় শেষ হয়।
📌 মাঘ পূর্ণিমার গুরুত্ব
🔹 ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে দেবতারা মানব রূপে এসে তীর্থরাজ প্রয়াগে গঙ্গা স্নান করেন এবং দান-ধ্যান করেন।
🔹 এই দিনে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে (ত্রিবেণী) স্নান করলে জীবনের সকল পাপ মোচন হয়।
🔹 যাঁরা মাঘ মাসে ব্রত পালন করেন, তাঁদের সৌভাগ্য, অর্থ-সমৃদ্ধি, সন্তান লাভ ও মোক্ষ লাভ হয়।
🔹 যদি এই পূর্ণিমা তিথিতে পুষ্যা নক্ষত্র উপস্থিত থাকে, তবে এর মাহাত্ম্য আরও বৃদ্ধি পায়।
🛕 মাঘ পূর্ণিমা ব্রত ও পূজা বিধি
মাঘ পূর্ণিমার দিনে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়। পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধ ও দান করাও শুভ বলে বিবেচিত হয়।
✅ পূজা বিধি:
1️⃣ ভোরবেলা পবিত্র নদী, পুকুর বা জলাশয়ে স্নান করুন এবং সূর্যদেবকে জল অর্ঘ্য দিন।
2️⃣ স্নান শেষে ব্রত ও উপবাসের সংকল্প করুন এবং ভগবান মধুসূদনের পূজা করুন।
3️⃣ মধ্যাহ্ন সময়ে দরিদ্র ও ব্রাহ্মণদের খাদ্য ও বস্ত্র দান করুন।
4️⃣ কালো ও সাদা তিল দান করুন এবং পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করুন।
5️⃣ এই দিনে যজ্ঞ, হোম ও দান বিশেষভাবে ফলদায়ক বলে মনে করা হয়।
📍 মাঘ মেলা ও কল্পবাস
মাঘ পূর্ণিমার বিশেষ আকর্ষণ হলো মাঘ মেলা ও কল্পবাস, যা প্রতি বছর তীর্থরাজ প্রয়াগে (বর্তমানে প্রয়াগরাজ) অনুষ্ঠিত হয়।
🔸 ভারত এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তীর্থযাত্রীরা এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
🔸 এই সময়ে সাধু-সন্তরা গঙ্গার তীরে বাস করে বেদ অধ্যয়ন করেন।
🔸 কল্পবাস পালনকারীরা ব্রহ্মচর্য, দান, জপ এবং স্নানের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন করেন।
মাঘ পূর্ণিমা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও পুনর্জন্ম লাভের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। যারা এই দিনে পবিত্র স্নান ও পূজা করেন, তারা জীবনেও সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি লাভ করেন।
আপনি যদি এই শুভ দিনে ব্রত পালন করতে চান, তবে উল্লিখিত বিধি মেনে চলুন এবং ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করুন। 🕉️🙏