Lung Cancer Symptoms: ফুসফুসের ক্যানসারের শেষ পর্যায়ে শরীরে কিছু স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়। সময়মতো এই লক্ষণগুলি চেনা অত্যন্ত জরুরি, নাহলে বিপদের আশঙ্কা বাড়ে।
ফুসফুসের ক্যানসার কী?
ফুসফুসের ক্যানসার হল এমন এক ধরণের ক্যানসার, যা ফুসফুসের কোষে বেড়ে ওঠে এবং ধীরে ধীরে আশেপাশের অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় খুব একটা লক্ষণ না থাকলেও, শেষ পর্যায়ে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে, যা উপেক্ষা করা বিপজ্জনক।
⚠️ ফুসফুসের ক্যানসারের সতর্ক সংকেত —
শেষ পর্যায়ে যেসব লক্ষণগুলি সাধারণত শরীরে দেখা যায়:
- নিয়মিত কাশি বা কাশির ধরন বদলে যাওয়া
- রক্তসহ কফ ওঠা (Hemoptysis)
- শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির মতো সমস্যা
- হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া
- চাপা বুকে ব্যথা বা কষ্ট অনুভব হওয়া
- গলার স্বর ভেঙে যাওয়া বা কণ্ঠস্বর পরিবর্তন
- হাড়ে ব্যথা বা দুর্বলতা
- হঠাৎ করে ক্লান্তি, অলসতা বা দুর্বল অনুভব হওয়া
- ঘন ঘন ফুসফুসে ইনফেকশন হওয়া (যেমন নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কাইটিস)
- কাঁধ, বাহু বা ঘাড়ে ব্যথা
কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি?
উপরের লক্ষণগুলির যেকোনো একটি যদি দীর্ঘদিন ধরে থেকে যায়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষত যদি আপনি ধূমপায়ী হন বা আগে থেকে ফুসফুসের সমস্যা থাকে, তাহলে সতর্কতা আরও বেশি প্রয়োজন।
ধূমপান ও ফুসফুসের ক্যানসার
ধূমপান ফুসফুসের ক্যানসারের প্রধান কারণ। তবে যারা ধূমপান করেন না, তারাও পারিপার্শ্বিক ধোঁয়ার (passive smoking), দূষণ বা জেনেটিক কারণে আক্রান্ত হতে পারেন।
প্রতিরোধ ও সচেতনতা
- ধূমপান ত্যাগ করা
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- দূষণ এড়িয়ে চলা
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা
- ক্যানসার স্ক্রিনিং করা
ফুসফুসের ক্যানসার প্রাথমিকভাবে ধরা পড়লে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দেরি হলে বিপদ অনেকটা বেড়ে যায়। তাই শরীরের সামান্য পরিবর্তনকেও হালকা করে না দেখে, দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
Disclaimer:
এই প্রতিবেদনে দেওয়া সমস্ত তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হয়েছে। এটি কোনও চিকিৎসা পরামর্শ নয়। উপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি যদি আপনার মধ্যে দেখা যায়, তবে দয়া করে নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত না নিয়ে, একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক চিকিৎসা ও পরীক্ষা ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।