মধ্যপ্রাচ্যে আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। শনিবার গভীর রাতে ফের ইরানের দিক থেকে ইজরায়েলের উপর নতুন করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। সেই হামলার প্রত্যুত্তরে ইজরায়েলও চালায় পালটা আক্রমণ। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিনজনের, আহত ১৭০ জনেরও বেশি।
💥 কী ঘটেছে শনিবার রাতে?
শনিবার রাতে মধ্যরাতের কিছু আগে তেল আবিব এবং আশপাশের এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, ইরান এক ঘণ্টা দীর্ঘ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল আবাসিক এবং সামরিক এলাকা। এর জবাবে ইজরায়েলও তেহরানের সামরিক ঘাঁটিতে পালটা আক্রমণ চালায়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি অনুযায়ী, ইজরায়েলি ড্রোনের আঘাতে তেহরানের শাহারান প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট এবং একটি জ্বালানি ডিপোতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়া।
ইরানের প্রতিক্রিয়া: ‘অপারেশন অনেস্ট প্রমিজ থ্রি’
ইরানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা “অপারেশন অনেস্ট প্রমিজ থ্রি” নামক প্রতিশোধমূলক অভিযানে নেমেছে। তাদের দাবি, ইজরায়েলের ‘মূল সামরিক লক্ষ্যবস্তু’তে তারা আঘাত হেনেছে। যদিও ইজরায়েল এই দাবি অস্বীকার করেছে।

ইজরায়েলের পালটা হুঁশিয়ারি
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “ইরান এখনও জানে না তাদের সামনে কী অপেক্ষা করছে। এখনো আমরা যা করেছি, তা কিছুই না। সামনের দিনগুলোতে আমাদের বাহিনীর দাপট দেখবে বিশ্ব।”

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনার জেরে ইরান জানিয়েছে, তারা আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসবে না। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলার পালা এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই যুদ্ধ কেবল দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, গোটা বিশ্বের উপর এর প্রভাব পড়তে চলেছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।