নিজস্ব প্রতিবেদন |
পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে। ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে তীব্র সামরিক সংঘর্ষের জেরে শুক্রবার রাতভর তেল আভিভ ও জেরুজালেম কেঁপে উঠল বিস্ফোরণে। ইজরায়েলের পাল্টা হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ও পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস হওয়ার দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
নেতানিয়াহুর প্রশাসন জানায়, টার্গেট করে আঘাত হানা হয় ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে। পাল্টা জবাবে ইরান ছোঁড়ে শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। রাতভর ইজরায়েল জুড়ে বাজে সাইরেন। আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কালো ধোঁয়া।

ইরানি পাল্টা আক্রমণে মৃত্যু ও আহত বহু
ইরানের হামলায় আহত হয়েছেন বহু ইজরায়েলি নাগরিক। হাসপাতালে ভর্তি বেশ কয়েকজন। এক জনের মৃত্যুরও খবর পাওয়া গিয়েছে। ইজরায়েলের আয়রন ডোম সিস্টেম অবশ্য বেশিরভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি তেল আভিভের।
ইরান দাবি করেছে, তারা গুলি করে নামিয়েছে ইজরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান। পাল্টা হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান, এলিট ফোর্সের কমান্ডার এবং ছয়জন বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়।

যুদ্ধ নয়, ইসলামী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই: নেতানিয়াহু
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরানবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন। বলেন, “ইজরায়েল যুদ্ধ করছে ইরানের ‘ইসলামী শাসনব্যবস্থার’ বিরুদ্ধে, যারা নিজেদের জনগণকেই দমন করে।” ইরানবাসীকে তিনি আহ্বান জানান, এই দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।
ভারতীয়দের জন্য সতর্কতা
ইজরায়েল এবং ইরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস উভয়েই ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকেও পরিস্থিতি নজরে রাখার বার্তা এসেছে। ভারতের অবস্থান এখনও নিরপেক্ষ, তবে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে।
ইজরায়েল-ইরান সংঘাত ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির জটিল সমীকরণে এই যুদ্ধ কতদূর গড়াবে, তা সময় বলবে। তবে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও আতঙ্ক ইতিমধ্যেই চরমে পৌঁছেছে। গোটা বিশ্ব এখন তাকিয়ে—এই সংঘর্ষ কোথায় গিয়ে থামে?