একুশেপা ডট কম ডেস্ক
লর্ডস টেস্টে নাটকীয় শেষদিনে ২২ রানে হেরে গেল ভারত। এই হারে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। মাত্র ১৯৩ রানের লক্ষ্যে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ল ১৭০ রানেই।
শেষ দিকে রবীন্দ্র জাডেজা, জসপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজের জেদি প্রতিরোধ সাময়িক আশা জাগালেও রক্ষা হল না। ১১২ রানে ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জাডেজা-বুমরাহর ৩৫ রানের পার্টনারশিপ কিছুটা আশা জাগায়, সিরাজও টিকেছিলেন ৩০ বল। কিন্তু শেষমেশ হার আটকানো গেল না।
ব্যর্থতার মূল কারণ: ব্যাটিং লাইনআপের ধস
ভারতের এই পরাজয়ের মূল দায় ভারতের ব্যাটারদের। দ্বিতীয় ইনিংসে যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল, করুণ নায়ার, নীতীশ কুমার রেড্ডিরা ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ। রাহুল ৩৯ এবং জাডেজা ৬১* ছাড়া উল্লেখযোগ্য রান নেই।
প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত হারায় ৭ উইকেট! এমন অবস্থা থেকে ম্যাচ বের করে আনা কঠিন হয়ে যায়। বল সুইং করছিল, ইংল্যান্ডের বোলাররা জানতেন কীভাবে তার সদ্ব্যবহার করতে হয়।

জাডেজার লড়াই, বুমরাহ-সিরাজের ধৈর্য
রবীন্দ্র জাডেজা আরও একবার প্রমাণ করলেন কেন তিনি টেস্ট দলের নির্ভরযোগ্য স্তম্ভ। টানা চতুর্থ ইনিংসে অর্ধশতক করলেন। তাঁর ৬১ রানের ইনিংস, বুমরাহ-সিরাজের সঙ্গে পার্টনারশিপ, সবই ছিল লড়াকু। কিন্তু দলের বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতা হারিয়ে দিল তাঁর সেই প্রয়াস।
প্রথম ইনিংসেই ব্যবধান গড়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩৮৭। ভারতও ৩৮৭ তুললেও, ইংল্যান্ড তাদের শেষ ৩ উইকেটে তুলেছিল ১১৬ রান, ভারত তুলেছিল মাত্র ১১। এই ১০৫ রানের পার্থক্যই ম্যাচের মোড় ঘোরাতে বড় ভূমিকা নেয়।
গম্ভীরের কোচিংয়ে প্রশ্ন উঠছে
গৌতম গম্ভীর কোচ হিসেবে এখনও পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট দিতে পারেননি। ভারতীয় টেস্ট দলে ‘সাপ্লাই লাইন’ বা লোয়ার মিডল অর্ডার–বোলারদের সম্মিলিত অবদান এখনো কাঙ্খিত স্থায়িত্ব পায়নি। ঘন ঘন খেলোয়াড় পরিবর্তনেও কোনও লাভ হচ্ছে না।

ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
ভারতের সামনে এখন প্রশ্ন—অভিজ্ঞ কোহলি, রোহিত, অশ্বিনহীন দলকে কীভাবে গড়ে তোলা যাবে? ব্যাটিং লেজ, মিডল অর্ডার ও বোলিং অলরাউন্ডারদের থেকে কিভাবে নিয়মিত পারফরম্যান্স আদায় করা যাবে?
শুভমন গিলের নেতৃত্বে এবং গম্ভীরের কোচিংয়ে ভারতীয় দলকে দ্রুত আত্মসমীক্ষা করে পরবর্তী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, নাহলে সিরিজ় হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।