দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে বাকি !!

Days
Hours
Minutes
Seconds

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপ! ‘নাটকীয় মোড়’ নেওয়ার আগেই মোদীকে ফোন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান্সের

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপ! ‘নাটকীয় মোড়’ নেওয়ার আগেই মোদীকে ফোন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান্সের

📌 বিশেষ প্রতিবেদন | আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই হস্তক্ষেপ করল আমেরিকা। গোপন গোয়েন্দা রিপোর্ট হাতে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে ওয়াশিংটন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। উদ্দেশ্য একটাই—যুদ্ধ নয়, আলোচনা।

শুক্রবার সকালে (আমেরিকার সময়) আমেরিকার প্রশাসনের হাতে পৌঁছায় একটি উচ্চসতর্কতামূলক গোয়েন্দা রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘নাটকীয় মোড়’ নিতে পারে এবং পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে সপ্তাহান্তে। সিএনএনের কাছে এমনটাই জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক।

🕊️ যুদ্ধ নয়, শান্তির বার্তা ভান্সের ফোনে

গোয়েন্দা রিপোর্ট হাতে আসার পর দ্রুত একাধিক বৈঠক করেন জেডি ভান্স, বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউস চিফ অফ স্টাফ সুসি উইলিস। এরপরেই সিদ্ধান্ত হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলা প্রয়োজন। মোদীকে ফোনে ভান্স অনুরোধ করেন, যেন তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেন। ভান্স জানান, পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এখনই ব্যবস্থা না নিলে বিপদ ঘনিয়ে আসবে।

🔍 গোপন রিপোর্ট প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা, তবুও তৎপরতা তুঙ্গে

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রিপোর্টটি যথেষ্ট সংবেদনশীল, তাই জনসমক্ষে তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে সূত্রের দাবি, সেই রিপোর্টেই এমন কিছু তথ্য ছিল যা আমেরিকাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে।

🤝 শান্তির পথে দুই দেশ

ভান্সের অনুরোধের পরেই শনিবার বিকেলে ভারত এবং পাকিস্তান যৌথভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ট্রাম্প প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে কিছু বলা হয়নি। বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানিয়েছেন, দুই দেশ সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।

📣 বিশ্লেষণ: হঠাৎ এমন মোড় কেন?

অবাক করছে এই ঘটনার অন্যতম দিক হল, ভান্স আগের দিনই বলেছিলেন, তিনি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ‘নাক গলাবেন না’। একদিনের ব্যবধানে এই অবস্থান বদল, এবং এত দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রশ্ন তুলছে আন্তর্জাতিক মহলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাত নিয়ে আমেরিকার উদ্বেগ যথার্থই ছিল।


📌 শেষ কথা: ভারত ও পাকিস্তানের এই যুদ্ধবিরতি বিশ্ব রাজনীতিতে শান্তির এক নতুন সম্ভাবনার দিশা দেখাল। যদিও আমেরিকা সরাসরি মধ্যস্থতা করেছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বাস্তবে যে তাদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল, তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
error: Content is protected !!