দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে বাকি !!

Days
Hours
Minutes
Seconds

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: সংঘাতে ইতি, শান্তির পথে এগোচ্ছে দুই দেশ, ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: সংঘাতে ইতি, শান্তির পথে এগোচ্ছে দুই দেশ, ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

🔴 ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি 🔴
অবশেষে সংঘাতের অবসান! শান্তির পথে এগোচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তান। শনিবার, ১০ মে ২০২৫ তারিখে বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়েছে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে।

ট্রাম্পের ঘোষণা ও আমেরিকার ভূমিকা
শনিবার বিকেলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখেন—

“আমেরিকার মধ্যস্থতায় রাতভর আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত সন্তুষ্টির সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। দুই দেশকেই অভিনন্দন। তারা বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে।”

এই ঘোষণা অনুযায়ী, জল, স্থল ও আকাশপথে সমস্ত সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ থাকবে। ট্রাম্পের এই টুইট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়ায় মার্কিন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা।

দিল্লি ও ইসলামাবাদের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের ঘোষণার ঠিক পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান,

“আজ দুপুর ৩টা ৩৫ মিনিটে পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্স ভারতের DGMO-কে ফোন করেন। দুই পক্ষই সিদ্ধান্ত নেয় যে সব ধরনের সামরিক সংঘর্ষ বন্ধ হবে বিকেল ৫টা থেকে। সেই নির্দেশ ইতিমধ্যেই দুই দেশের বাহিনীর কাছে পৌঁছে গেছে।”

পরবর্তী DGMO বৈঠক হবে ১২ মে দুপুর ১২টায়। দুই দেশের প্রতিনিধি নিরপেক্ষ স্থানে বৈঠকে বসবেন বলে জানানো হয়েছে।

ভারতের এবং পাকিস্তানের নেতৃত্বের ভূমিকা
মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের সঙ্গে ক্রমাগত আলোচনা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী ইশাক জানিয়েছেন—

“পাকিস্তান ও ভারত অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। পাকিস্তান নিজের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রেখেই শান্তি ও নিরাপত্তার উপর জোর দিচ্ছে।”

বিশ্লেষণ:
বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন ও সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার মাঝে এই যুদ্ধবিরতি এক বড় পদক্ষেপ। আমেরিকার সক্রিয় কূটনীতি আবারও প্রমাণ করল, আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা কিভাবে বৃহৎ সংঘাত থামাতে পারে। এখন দেখার, ১২ মে’র আলোচনায় কতটা অগ্রগতি হয় এবং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপিত হয় কি না।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
আরও পড়ুন
error: Content is protected !!