শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ভারতীয় সময়: সকাল ৯:০০
📌 মূল বিষয়বস্তু:
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এবার ভারত সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে পাকিস্তানকে জানিয়ে দিল ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল বণ্টন চুক্তি আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকেই এই সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত মিলেছিল।
🔥 কেন স্থগিত হল সিন্ধু জল চুক্তি?
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের লশকর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট। ঘটনার পর ভারতের পক্ষ থেকে কড়া অবস্থান নেওয়া হয়। জানানো হয়, পাকিস্তান যদি সন্ত্রাস দমন না করে, তবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করা হবে।
📝 পাকিস্তানকে কী জানাল ভারত?
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে একটি কূটনৈতিক চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে,
“সিন্ধু চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এই চিঠি পাঠিয়েছেন ভারতীয় জল শক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব দেবশ্রী মুখোপাধ্যায়, পাকিস্তানের জল সম্পদ মন্ত্রী সৈয়দ আলি মুর্তজা-কে।
⚠️ পাকিস্তানের পাল্টা হুঁশিয়ারি
ভারতের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানও হুঁশিয়ারি দিয়েছে—
- শিমলা চুক্তি স্থগিত
- দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ
- অন্যান্য চুক্তি পর্যালোচনা
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইতিমধ্যেই সার্ক ভিসা বাতিল করেছে ভারত। সেই সঙ্গে দুই দেশের দূতাবাস সম্পর্ক কার্যত অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে।
📚 সিন্ধু জল চুক্তি: এক ঝলকে
- চুক্তি স্বাক্ষর: ১৯৬০ সালে
- চুক্তি স্বাক্ষরকারীরা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান
- মধ্যস্থতাকারী: বিশ্ব ব্যাঙ্ক
- মূল লক্ষ্য: সিন্ধু নদ ও তার উপনদীগুলির জল বণ্টন
- চুক্তি অনুযায়ী: পশ্চিম ভারতের সিন্ধু, ঝেলম ও চেনাব নদীর অধিকাংশ জল পাকিস্তানের, এবং পূর্ব ভারতের রবি, বিয়াস ও শতদ্রু ভারতের হাতে থাকে।
🌐 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কেমন?
এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক স্তরেও সাড়া ফেলেছে। কারণ, সিন্ধু জল চুক্তিকে এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম সফল জলের চুক্তি হিসেবে দেখা হত। বর্তমানে সেটিই আঞ্চলিক উত্তেজনার কারণ হয়ে উঠেছে।
📌 শেষকথা
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের এই মোড় সম্ভবত একটি নতুন ভূ-কৌশলগত অধ্যায় সূচিত করছে। সিন্ধু জল চুক্তির স্থগিত হওয়া ভবিষ্যতে কৃষি, জল সরবরাহ এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক—সব কিছুর উপরই প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্ববাসীর নজর এখন দুই দেশের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।