✨ হাই স্পিড ইন্টারনেট! প্রযুক্তির নতুন বিপ্লব
আজকের দিনে ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনা করাই অসম্ভব। কিন্তু যতই ৫জি আসুক, বাফারিং, স্লো ডাউনলোড বা হ্যাং হওয়া থেকে এখনও সম্পূর্ণ মুক্ত নয় ইন্টারনেট ইউজাররা। তবে এবার জাপানের বিজ্ঞানীরা এমন এক আবিষ্কার করলেন, যা আগামীদিনে ইন্টারনেট দুনিয়ার মুখই বদলে দিতে পারে।
কী সেই প্রযুক্তি?
জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (NICT) সম্প্রতি ইন্টারনেট ট্রান্সমিশনের নতুন রেকর্ড গড়েছে। তারা সফলভাবে ডেটা ট্রান্সমিট করেছে ১.০২ পেটাবাইটস/সেকেন্ড গতিতে — যা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০,২০,০০০ গিগাবাইট ডেটা ট্রান্সফারের সমান!
এত গতি মানে ঠিক কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গতিতে ইন্টারনেট পরিষেবা মিললে –
- মাত্র ১ সেকেন্ডে গোটা নেটফ্লিক্স লাইব্রেরি ডাউনলোড করা সম্ভব।
- ৬৭ মিলিয়ন গান ডাউনলোড হতে পারে এক ঝটকায় — যা ১,২৭,৫০০ বছর গান শোনার সমান!
- ১০ মিলিয়ন 8K আলট্রা এইচডি ভিডিও একসঙ্গে স্ট্রিম করা যাবে।
- হেভি গেমিং অ্যাপে থাকা সব ভারী ভিডিও গেম ডাউনলোড হয়ে যাবে ১০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে।
- ইংরেজি উইকিপিডিয়া (১০০ জিবি) এক সেকেন্ডে ১০,০০০ বার ডাউনলোড সম্ভব।
এই ইন্টারনেট আমরা কবে পাব?
দুঃখের কথা হল, এখনই এই স্পিড ঘরে বসে পাওয়া যাবে না। কারণ, বর্তমান ইন্টারনেট পরিকাঠামো এখনও টেরাবিট/সেকেন্ড গতিতেও পুরোপুরি পৌঁছতে পারেনি। সেখানে পেটাবাইট/সেকেন্ড গতির বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। তবে গবেষণা, সরকারি সাহায্য, এবং টেলিকম সংস্থাগুলোর আগ্রহ ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে — এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
ভবিষ্যতের জন্য কী বার্তা?
আপনার সন্তান বা নাতি-নাতনিরা হয়তো এমন এক ভবিষ্যৎ দেখবে যেখানে “বাফারিং” শব্দটাই অচেনা হয়ে যাবে। ইন্টারনেট হবে আলো থেকেও দ্রুতগতির। সিনেমা, গান, গেম সবকিছু মুহূর্তেই পৌঁছে যাবে হাতে।
📌 তথ্য সূত্র:
Business Today, NICT Japan