মহাকুম্ভের সুন্দরী ‘সাধ্বী’ হর্ষা রিছাড়িয়ার ভাইরাল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। সন্ন্যাসিনী সাজে তার ছবি এবং ভিডিও দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে উঠেছেন, তবে বাস্তবতার আড়ালে রয়েছে কিছু অবাক করা সত্য। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে হর্ষা পার্লারে গিয়ে নকল জটা লাগাচ্ছেন। এই ভিডিওর মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেছে তার আসল রূপ। তাহলে কি মহাকুম্ভের ‘সাধ্বী’ হর্ষা আসলেই সন্ন্যাসিনী নন? কিংবা এটি কোনো বিপণন কৌশল? আসুন জেনে নিন।
মহাকুম্ভে আসার পর কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হল হর্ষার?
মহাকুম্ভের এই নতুন সন্ন্যাসিনী হর্ষা রিছাড়িয়া, যার রূপ দেখে এক সময় সবাই হতবাক হয়েছিল। সৌন্দর্যে ভরা তার দীর্ঘ চুল, বিভূতি, গেরুয়া বসন—সব কিছুই এক প্রকার মহাকাব্যিক। অনেকেই তাকে “মহাকুম্ভের সবচেয়ে সুন্দরী সাধ্বী” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে, হর্ষার ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় ওঠে। সবাই জানতে চেয়েছিল, কে এই সাধ্বী? কোথা থেকে এলেন তিনি?

ভাইরাল ভিডিও আর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের রহস্য
একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেখা যায়, হর্ষা একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁর ইনস্টাগ্রামে লেখা ছিল ‘অ্যাঙ্কর হর্ষা রিছাড়িয়া’, যা দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পাওয়া পোস্টের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি অনেক আগেই সনাতন ধর্মে আগ্রহী ছিলেন। তবে মহাকুম্ভে আসার পর থেকেই তার সম্পর্কে কৌতূহল বেড়ে যায়।

নকল জটা নিয়ে বিতর্ক
মহাকুম্ভে আসার পর হর্ষার জটার সৌন্দর্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। তার জটা ছিল অত্যন্ত সুন্দর এবং দীর্ঘ, যা অনেকের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল। কিন্তু হর্ষার পুরনো পোস্ট দেখে জানা যায়, এই জটা আসল নয়। তিনি নিজেও একে অস্বীকার করেননি। মহাকুম্ভে আসার আগে তিনি একটি পার্লারে গিয়ে এই নকল জটা লাগিয়েছিলেন। বর্তমানে পার্লারে জটা লাগানোর সময় তোলা হর্ষার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যা তার আসল রূপ প্রকাশ করেছে।

সমালোচনা ও সমর্থন: সত্য কি?
হর্ষার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য আসতে শুরু করে। অনেকেই তাঁকে সমালোচনা করেছেন, “সাধ্বী না ছাই! আসল চেহারা ফাঁস হয়ে গিয়েছে।” তবে, কিছু নেটিজেন সমর্থনও জানিয়ে বলেছেন, “যদি কেউ সংসার না ত্যাগ করেও ঈশ্বরের আরাধনা করতে চান, তাতে কোনো দোষ নেই।” এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “কেন অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে এত কৌতূহল? মানুষ কি এতো ফুরসত পায়?”
Many people are sharing her video by claiming that she is a Sadhvi.
— Vijay Patel (@vijaygajera) January 13, 2025
But it's not true. She is an actress and host.
Her name is Harsha Richhariya. pic.twitter.com/dup66NZpyc
হর্ষার ভিডিও এবং পার্লারের রহস্য বেরিয়ে আসার পর, প্রশ্ন উঠছে, আসলে সে কী চায়? সমাজ তাকে সন্ন্যাসিনী হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত কি না? তবে, এটি স্পষ্ট যে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হতে পারে। এর পাশাপাশি, ব্যক্তিগত জীবনকে জনসমক্ষে ফাঁস হওয়া কেমন যেন এক দ্বিধার সৃষ্টি করে। সোশ্যাল মিডিয়া জগতে সবাই যখন নিজের পরিচয়কে অন্যভাবে উপস্থাপন করে, তখন এর পেছনে থাকা প্রকৃত উদ্দেশ্য কী?
আজকের যুগে যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক কিছুই ভাইরাল হয়ে যায়, সেখানে সত্য এবং মিথ্যা এক হয়ে যায় খুব সহজেই। তবে, হর্ষার জীবন এবং তার ইচ্ছার পেছনের আসল কারণ শুধুমাত্র তিনি এবং তার আত্মবিশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।