গাজা সিটি: গাজার আল-শিফা হাসপাতালের মূল গেটের বাইরে সংবাদমাধ্যমের একটি তাঁবুতে হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭ জনের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আল জাজিরার ৫ জন সাংবাদিক। আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
আল জাজিরার তরফে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন করসপনডেন্ট আনাস আল-শরিফ এবং মহম্মদ কুরেইকেহ, ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহিম জাহির, মোয়ামেন আলিওয়া এবং মহম্মদ নউফাল।
ইজরায়েলের দাবি ও প্রতিক্রিয়া
ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন সাংবাদিক আনাস আল-শরিফ। তাদের দাবি, তিনি শুধু রিপোর্টার ছিলেন না, বরং একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
তবে আল জাজিরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছেন, আনাস পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আনাস আল-শরিফের শেষ বার্তা
আনাস আল-শরিফ মৃত্যুর আগে তাঁর সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছিলেন,
“যদি আমার এই কথাগুলো আপনাদের কাছে পৌঁছায়, তবে বুঝবেন, আমার কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতে যারা চেষ্টা করেছিল, তারা সফল হয়েছে।”
গত ২২ মাস ধরে গাজায় চলমান সংঘর্ষে নিয়মিত রিপোর্টিং করছিলেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে প্রায় ২০০ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।
هذه وصيّتي، ورسالتي الأخيرة.
— أنس الشريف Anas Al-Sharif (@AnasAlSharif0) August 10, 2025
إن وصلَتكم كلماتي هذه، فاعلموا أن إسرائيل قد نجحت في قتلي وإسكات صوتي.
بداية السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
يعلم الله أنني بذلت كل ما أملك من جهدٍ وقوة، لأكون سندًا وصوتًا لأبناء شعبي، مذ فتحت عيني على الحياة في أزقّة وحارات مخيّم جباليا للاجئين،…
যুদ্ধক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সংঘর্ষ চলমান এলাকায় সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।
গাজার এই সাম্প্রতিক ঘটনা যুদ্ধক্ষেত্রে সংবাদকর্মীদের জন্য ঝুঁকির মাত্রা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে।