পাহাড় নয়, জয় হলো স্বপ্নের। দেহরক্ষীর পরিচয় ছাপিয়ে তিনি এখন পর্বতারোহী লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল। মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে ফিরতেই কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে বরণ করলেন স্বয়ং পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা।
স্বপ্ন পূরণের দিন
কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মার দেহরক্ষী লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল শুক্রবার সফলভাবে এভারেস্ট জয় করে কলকাতায় ফিরলেন। বিমানবন্দরে তাঁর অভ্যর্থনায় হাজির ছিলেন কলকাতা পুলিশ, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আধিকারিকরা এবং কমিশনার স্বয়ং। গার্ড দেওয়া দেহরক্ষী এবার ক্যামেরার সামনে, সম্মানের আসনে।
এভারেস্ট অভিযান: সাহসিকতার গল্প
তমলুকের বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত ১০ এপ্রিল শুরু করেন মাউন্ট এভারেস্টের দুর্গম যাত্রা। মাসের পর মাস কঠোর প্রশিক্ষণ, মানসিক দৃঢ়তা এবং শারীরিক ফিটনেস তাঁকে পৌঁছে দেয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে। অভিযানের কষ্টের ছাপ ছিল চোখেমুখে, তবে খুশির আলো ঢেকে দেয় সব ক্লান্তি।
কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা
লক্ষ্মীকান্ত বিমানবন্দরে জানান, “আমি এখানে পৌঁছেছি স্যরের জন্য। উনি আর্থিক, মানসিক—সব দিক থেকে পাশে ছিলেন। কলকাতা পুলিশ সোশাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনও আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “অনেকদিন ধরে স্বপ্ন ছিল। স্যর বলেছিলেন এবারই যেতে হবে, আমি গেছি।”
পুলিশ বাহিনীর গর্ব
কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, “লক্ষ্মীকান্তের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। শারীরিক, মানসিক সাহস ছাড়া এমন অভিযান অসম্ভব। তাঁর এই অভূতপূর্ব কৃতিত্ব রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের গর্ব।”
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা?
প্রশ্ন করা হলে লক্ষ্মীকান্ত বলেন, “এই সাফল্যে ভীষণ খুশি। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আরও সামিট জয় করব। আমি চাই যুব সমাজ দেখুক—ইচ্ছা থাকলে সব কিছু সম্ভব।”
লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডলের এই অভূতপূর্ব সাফল্য প্রমাণ করে, প্রতিটি মানুষের ভিতরে লুকিয়ে থাকে এক পাহাড়জয়ী। সঠিক দিশা, প্রেরণা ও মানসিক শক্তি থাকলে দেহরক্ষী থেকেও হয়ে ওঠা যায় জাতীয় গর্ব।