আগামী বছর ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে এক সম্ভাব্য নতুন রাজনৈতিক দলের গুঞ্জন। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নাকি নেতৃত্ব দিতে চলেছেন এক নতুন দলকে, যার সম্ভাব্য নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ হিন্দুসেনা’।
এই সংক্রান্ত জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়েছে রবিবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কলকাতা ও বিধাননগরে একাধিক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বিজেপির একাধিক প্রাক্তন নেতা ও কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এই বৈঠকগুলিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা ও বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।
দিলীপ ঘোষের নীরবতা ও রাজনৈতিক বার্তা
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এখনো পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে তাঁর নীরবতা যে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এক সময় রাজ্যে বিজেপির অন্যতম উত্থানকারী মুখ হিসেবে পরিচিত দিলীপ, এখন দলের মধ্যে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। সাম্প্রতিক বিজেপি নেতৃত্বের বাংলা সফরেও তাঁর অনুপস্থিতি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
RSS-এর ভূমিকা ও দিলীপের ‘নিজস্ব পথ’
রাজনৈতিক মহলে এমন কথাও উঠছে, RSS নাকি দিলীপ ঘোষকে ‘নিজস্ব পথে’ চলার অনুমতি দিয়েছে। ফলে তাঁর নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ আদতে সংগঠনের ছত্রছায়াতেই হতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।
নতুন মোড় রাজনীতির চিত্রনাট্যে
এই পরিস্থিতিতে ‘পশ্চিমবঙ্গ হিন্দুসেনা’-র মতো একটি দল গঠনের সম্ভাবনা নিঃসন্দেহে রাজনীতির ময়দানে নতুন মোড় আনবে। একদিকে যেমন গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরীণ মতানৈক্যকে সামনে আনছে, তেমনই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে হিন্দু ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসাতে পারে এই উদ্যোগ।
যদিও এখনই কিছুই চূড়ান্ত নয়, তবে দিলীপ ঘোষের সম্ভাব্য নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে জল্পনার আগুন দিনে দিনে আরও জোরালো হচ্ছে। আগামী দিনে তাঁর পদক্ষেপ ঠিক কোন দিকে যায়, তা নজরে রাখছে গোটা রাজ্য রাজনীতি।