চীনের সামরিক শক্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের যুদ্ধবিমানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা সম্প্রতি সতর্ক করেছেন যে, ২০২৭ সালের মধ্যে চীনের যুদ্ধবিমানের সংখ্যা আমেরিকার তুলনায় ১২ গুণ বেশি হতে পারে।
চীনের বায়ুসেনার বৃদ্ধি:
চীন তাদের বায়ুসেনার আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকান বিমানশক্তিকে দমন বা ধ্বংস করতে সক্ষম হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ:
চীনের এই সামরিক বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতি ও কৌশল পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি চীনের ‘আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড’ নিয়ে সতর্ক করেছেন।
বিশ্বব্যাপী প্রভাব:
চীনের সামরিক শক্তির এই বৃদ্ধি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের এই পদক্ষেপ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে।
চীনের বায়ুসেনার এই দ্রুত বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ, যা মোকাবিলায় কৌশলগত পরিকল্পনা ও সহযোগিতার প্রয়োজন।